ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ বললেন, ‘বিগত এক যুগের মধ্যে এবারের মতো এতো বৃষ্টি কখনো হয়নি’। আষাঢ় মাস থেকে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। মাঝে মধ্যে ২/১ দিন বিরতী দিয়ে আবার টানা বৃষ্টি। এখন চলছে শ্রাবণ মাস। বৃষ্টি থামাথামি নেই। ঈদের ২দিন আগ থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি এখনো চলছে। শ্রাবণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যেক দিনই বৃষ্টি হচ্ছে। আর গতকাল ভোর থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ছিলো লাগাতার বৃষ্টি। বেলা ১১ টার পর ছিলো মুষলধারে বৃষ্টি। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের হিসেবে রোববার রাত থেকে গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ১শ’ ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভোর ৬ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত হয়েছে ৬৯ মিলিমিটার। আর রোববার রাত থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার।
এদিকে টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ কোথাও যেতে খুবই দুর্ভোগে পড়ছে। গ্রামের কাঁচা রাস্তাঘাট প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। পুকুর, মাছের ঘের, মৎস্য খামার সব পানিতে সয়লাব হয়ে মাছ ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ফরিদগঞ্জে বেশ ক’জন মৎস্য খামারীর মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এমন টানা বর্ষণে মানুষ কোনো কুল কিনারা করতে পারছে না। চাঁদপুর শহরের নিম্নাঞ্চলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে। এসব এলাকার শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। বিশেষ করে পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন গুণরাজদী এলাকার শত শত মানুষ অনেক দিন যাবৎ পানিবন্দী হয়ে আছে। এ এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। টানা বর্ষণসহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুর নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত এখনো বলবৎ রয়েছে। গতকাল চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাঁদপুরে এখনো ২ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। ছোট লঞ্চগুলোকে আমরা চলাচল করতে দিচ্ছি না। বড় লঞ্চগুলো সতর্কতার সাথে চলাচল করছে। গতকাল সকাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বড় বড় লঞ্চ সবগুলোই চাঁদপুর ছেড়ে গেছে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৩ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।