অনলাইন ডেস্ক
সোমবার সারাদিন বারিধারার বাসায়ই কাটিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। মাঝেমধ্যে পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতারা দেখা করেছেন তার সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কথা বললেও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি। দলের নেতা-কর্মী যারা দেখা করেছেন তাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘গত এক মাস আমি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলাম। প্রকৃত ঘটনা দেশের মানুষ জানে, বিদেশিরাও জানে। সময় হলে আমিও সব খুলে বলব। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। বাসায় ঢুকে টিভিতে দেখি-আমাকে দূত করেছে।’
সোমবার সকাল থেকে প্রায় সারাদিনই এরশাদকে সঙ্গ দিয়েছেন ছোট ভাই জিএম কাদের। দীর্ঘক্ষণ ছিলেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান। এছাড়াও আজ দেখা করতে গেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম এমপি, আহসান হাবিব লিংকন, মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা, ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাপার সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতি ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন বাবুলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। এছাড়াও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) জাপার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেলের নেতৃত্বে বেশ ক’জন নগর নেতা-কর্মী এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন।
তবে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া জাপা নেতারা এবং দু’একজন ছাড়া দলীয় সংসদ সদস্যদের কেউই তার সঙ্গে এখনও দেখা করতে যাননি।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার যারা দেখা করেছেন-তাদের সঙ্গে আলাপকালে জাপা চেয়ারম্যান বলেছেন ‘আমার বয়স হয়েছে, তবে আমার শরীরে কোনো রোগ নেই। আমি সুস্থই ছিলাম। তারপরেও হাসপাতালে যেতে হয়েছে। কেন গেলাম, সেটা সবাই জানে। কী হবে জানি না। এখন আমাদের কাজ হলো-দলকে সুসংগঠিত করা।’
ঢাকা মহানগরের এক নেতা এরশাদের উদ্দেশে বলেন ‘স্যার আপনি দূত হলেন কেন?’ জবাবে এরশাদ বলেছেন ‘আমি কিছুই জানতাম না। কাল (রবিবার) যখন বাসায় আসলাম, তখন টিভিতে দেখি আমাকে নাকি দূত করা হয়েছে।’
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।