চাঁদপুর: চাঁদপুর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন হাটে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশী হওয়ায় টিসিবি’র বিভিন্ন পন্য খাদ্য দ্রব্য ন্যার্যমূল্যে ক্রয় করতে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে ন্যায্যমূল্যে খাদ্য দ্রব্য বিক্রিকালে সাধারন মানুষের মধ্যে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।
নারী, পুরুষ ও শিশুরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতি ২লিটার সোয়াবিন তেল ১৮০ টাকায়, প্রতি কেজি চিনি ৫০টাকায় ও প্রতি কেজি মশুর ডাল ৫৫টাকা দরে ক্রয় করছে। এ তিন রকম খাদ্য পেকেজ হিসেবে ২৮৫ টাকায় বিক্রি করছে টিসিবি প্রতি একজন ক্রেতার কাছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে খবর নিয়ে জানা যায়, দেশের জন সাধারনকে তাদের কস্ট থেকে লাগব পেতে সরকার বিগত বছরের ন্যায় সরকার এ উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এ ছাড়া বর্তমান বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার এ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে বলে সরকারের সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে।
দেশের বানিজ্য মন্ত্রলয়ের আওতায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ভ্রাম্যমান ট্রাকসেল কার্যক্রম হিসেবে চাঁদপুর শহর, শহরতলী ও জেলার সব কয়টি উপজেলায়ও ডাল, তেল, চিনি, ছোলা ও পিঁয়াজ এ সংস্থা কমদামে অর্থাৎ ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে যাচ্ছে। শহরের হাট, বাজার, বিভিন্ন বিপনী বিতান ও বিভিন্ন স্থানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বর্তমান বাজার মূল্যের চাইতে টিসিবি কিছুটা কমদামে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা লক্ষ করা যাচ্ছে।
বিশ^ করোনা মহামারীর কারণে এ দেশের মানুষজন দীর্ঘ সময় তাদের জমাকৃত পুঁজি ভেঙে জীবন নির্বাহ করে। যার ফলে তাদের কাছে বর্তমান সময় অর্থ না থাকায় মানুষজন প্রচন্ড রোদ ও রাস্তার ধূলাবালি উপেক্ষা করে খাদ্যপন্য ক্রয় করার জন্য বিশাল লাইনে দাড়িয়ে ডাল, সোয়াবিন তেল ও চিনি ক্রয় করছে। এতে তারা বাজারের দোকান যেদামে বিক্রি হয়, তা চাইতে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি বা লিটারে কমদামে ক্রয় করতে পারছে বলে ক্রেতারা জানান।
কথা বলে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা চাঁদপুর জেলার দায়িত্বরত মেসার্স আজম এন্টার প্রাইজের মালিক টিসিবির ঠিকাদার মো: গোলাম মোস্তফা চাঁদপুর শহরের পালবাজার মাড়, কালীবাড়ি, নতুনবাজার, কোর্টস্টেশন শপথ চত্বর, চিত্রলেখা মোড়, ইলিশ চত্বর, জেলা প্রশাসক কার্যায়ের সামনে, বাস স্ট্যান্ড এলাকা, চাঁদপুর স্টেডিয়াম এলাকা, বিপনীবাগ, ওয়ারলেছ বাজার, পুরানবাজার,প ুরানবাজার বাকালি পট্রি মাছ বাজার, লোহার পুল, বাবুরহাট বাজারসহ শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে ক্রেতা সাধারনের সুবিধার দিক বিবেচনা করে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব খাদ্যদ্রব্য ন্যাযমূল্যে বিক্রি করতে দেখা যায়।
মেসার্স আজম এন্টার প্রাইজের মালিক টিসিবির ঠিকাদার মো: গোলাম মোস্তফা জানান, বর্তমান সময় শেখ হাসিনার সরকারের সময় বিগত সরকারের চাইতে বেশী পরিমান খাদ্যদ্রব্য ন্যাযমূল্যে বিক্রি করায় সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছে এবং আমরা যারা ঠিকাদার তারা মানুষের সেবাদিতে পেরে অনেক আনন্দ পাচ্ছি। আমাদের এ ধরনের সেবা সরকারি নির্দেশনা মত অব্যাহত থাকবে বলে মনে করি।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট/চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/