জননেতা হিসেবে সু-পরিচিত কুমিল্লার সকলের প্রিয় মুজিব ভাই। নিজের ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করতে এসেও আজ শুক্রবার চান্দিনার মিরাখলায় পৌঁছানোর পর নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবরে ব্যস্ত দেখা গেছে তাকে।
আজ শুক্রবার বিকাল ৩টা ১ মিনিটে রেলমন্ত্রী তার শ্বশুরালয়ে পৌঁছানোর পর স্টেজে উঠে প্রাথমিক নিয়ম-কানুন শেষে স্টেজ ছেড়ে ছুটে আসেন অপেক্ষমান প্যান্ডেলে। সেখানে অবস্থানরত অতিথিদের সাথে তিনি কুশল বিনিময় ও তাদের খাওয়া-দাওয়া হয়েছে কি-না ওই সব খোঁজ খবর নেন। পরে সেখান থেকে তিনি ছুটে যান খাবারের প্যান্ডেলে। ওই প্যান্ডেলে থাকা রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল অতিথির খোঁজ-খবর নেন তিনি। কিন্তু অতিরিক্ত মানুষের বাড়তি চাপে অনেক নিয়ম-শৃঙ্খলা ঠিক না থাকায় উৎসুক মানুষের উপচে পড়া ভীড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন মন্ত্রী নিজেই।
এদিকে কনের পক্ষের আয়োজনের চেয়ে দ্বিগুন অতিথির উপস্থিতিতে খাবারের সংকট দেখা দেয়। খাবার টেবিলে বসে প্লেট পেলেও খাবার পাননি সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি, তাজুল ইসলাম এমপি, সাবেক এমপি নাছিমূল আলম চৌধুরী নজরুল, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি সফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল, জেলা পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ প্রায় সাড়ে ৩৫০ লোক। পরবর্তীতে সকলে না খেয়েই খাবার প্যান্ডেল ত্যাগ করেন। এছাড়াও প্রায় পাঁচ শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি খাবার টেবিলে বসার সুযোগ পায়নি।
এদিকে বরযাত্রী, মিডিয়াকর্মী, পুলিশ সদস্য ও এলাকার উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়ে প্রায় দুই সহস্রাধিক লোক সমাগম হয় বিয়ে বাড়িতে। যার ফলে প্রায় আট শতাধিক লোকজন না খেয়ে বিয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। এ ঘটনায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন কনের পরিবার।
কনের পরিবার সূত্রে ১৫০০ লোকের খাবার আয়োজন করার কথা শুনা গেলেও খোদ বাবুর্চিং সূত্রে জানা যায়, বর পক্ষের ৭০০ বরযাত্রীসহ ১২০০ লোকের খাবার আয়োজন করেছিল কনে পক্ষ।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।