আমাদের চক্ষুগোলকের চারপাশে কিছু মাংসপেশি রয়েছে, যা স্নায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে চোখের অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করে। ডানপাশের পেশি সংকুচিত হলে চোখ ডানদিকে যায়, বাম পাশের পেশি সংকুচিত হলে চোখ বামদিকে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো পেশির সংকোচন না হলে চোখের অবস্থান সোজা থাকে। কোনো কারণে স্নায়ু দুর্বলতা অথবা সরাসরি কোনো পাশের মাংসপেশির দুর্বলতার কারণে চোখের অবস্থানের ভারসাম্যহীনতা ঘটে, ফলে চোখ উল্টো দিকে বেঁকে যায়। এটি ট্যারা চোখ।
কারণ
• বাচ্চা ডেলিভারির সময় বিলম্বিত হলে অথবা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে চোখে আঘাতের কারণে চোখ ট্যারা হতে পারে। এক্ষেত্রে ট্যারা চোখের সঙ্গে জন্মগত ছানিরোগও থাকতে পারে।
• যেসব বাচ্চার পাওয়ারজনিত দৃষ্টিস্বল্পতা বা রিফ্রাকটিভ ইরর রয়েছে, তাদের চোখ মাঝে মাঝে এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ট্যারা হতে পারে।
• যেসব বাচ্চার চোখের ভেতর জন্মগত গঠনগত পরিবর্তন থাকে, তারা ট্যারা চোখ নিয়ে জন্ম নিতে পারে অথবা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখ ট্যারা হতে পারে।
• চোখের আঘাতজনিত কারণে যে কোনো বয়সে চোখ ট্যারা হতে পারে।
• চোখের মাংসপেশি নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু দুর্বল হয়ে গেলে, অনিয়ন্ত্রিত মাংসপেশি চোখের স্বাভাবিক অবস্থান ধরে না রাখার কারণে চোখ ট্যারা হয়ে যেতে পারে। সাধারণত ডায়াবেটিস, ভাইরাসজনিত স্নায়ুরোগ, মায়েসথেনিয়া গ্রেভিস, মস্তিষেকর রক্তক্ষরণ, মস্তিষেকর টিউমার ইত্যাদির কারণে স্নায়ু দুর্বল হয়।
• পাঁচ বছরের ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চোখের ক্যান্সার বা রেটিনো ব্লাসটোমাতে অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে চোখ বাঁকা হতে পারে।
ট্যারা চোখের সমস্যা
• বাঁকা চোখের ভেতর দিয়ে আলোকরশ্মি চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল ম্যাকুলায় যেতে পারে না বিধায় চোখের কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। একে এমব্লায়োপিয়া বা অলস চোখ বলা হয়। সাধারণত ১২ বছরের আগে বাঁকা চোখের ত্বরিত চিকিৎসা না করালে বাচ্চাদের এমব্লায়োপিয়া হতে পারে।
• স্নায়ু দুর্বলতার কারণে চোখ বাঁকা হলে রোগী ১টি জিনিসকে ২টি দেখতে পারে। একে ডিপ্লোপিয়া বলে। ডিপ্লোপিয়ার কারণে রোগীর দৈনন্দিন কর্মজীবন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়।
• ট্যারা চোখের রোগীদের অনেক সামাজিক সমস্যার সমমুখীন হতে হয়। এদের অস্বাভাবিক মনে করে স্কুলে অন্য শিশুরা তাদের সঙ্গে সহজে মিশতে চায় না। এতে মানসিকভাবে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে। বিবাহযোগ্য ছেলেমেয়েরা ট্যারা চোখ নিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে। দৃষ্টিকটু বিধায় তাদের এ অস্বাভাবিক সামাজিক সমস্যায় পড়তে হয়।
চিকিৎসা
• এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথি একটি চমৎকার চিকিৎসা ব্যাবস্থা,আপনার শিশুর এ সমস্যা আপনার চোখে ধরা পরার সাথে সাথে আপনি হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের শরনাপন্ন হউন দ্রুত।
=======================================
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall