স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মণি চাঁদপুরের ভাড়া বাসায় চুরির চেষ্টা, নাশকতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৬। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর, ফিরোজ আলম, এএসআই নন্দন সরকার, সেলিম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল শুক্রবার আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, শহরের ছায়াবাণী এলাকার অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মজিবুর রহমান স্বপনের বাসার ৩য় তলায় ডাঃ দীপু মণি এমপি ভাড়া থাকতেন। গত বুধবার ৩ ডিসেম্বর রাতে যেকোনো সময় চোরের দল চুরি ও নাশকতা করার অসৎ উদ্দেশ্যে ঘরের মূল দরজার হেজ বোল্ড ও তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে প্রত্যেক কক্ষের বিছানা, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে ফেলে রেখে যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাঃ দীপু মণি এমপি ঢাকা থেকে আসার খবর শুনে তার দলের নেতা-কর্মীরা চাঁদপুরে বাসায় ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা এবং ভিতরের আসবাবপত্র এলোমেলো। পরে তিনি বিষযটি চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করেন। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ইনচার্জ আবদুল কাইয়ুম, তদন্ত ওসি আরিচুল হক, ডিবি’র এসআই মামুনুর রশিদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনা তদন্তে মিশনরোডস্থ বাসায় যায়। ঐ রাতেই মডেল থানা পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন ঃ শাহরাস্তি উপজেলার রাগৈর গ্রামের ওমর ফারুক মিজির ছেলে জাহিদ হোসেন (২২), পুরাণবাজার মেরকাটিজ রোড়ের আইয়ুব আলীর ছেলে রাব্বি বেপারী (১৯), মজুমদার বাড়ির মুরাদ সওদাগরের ছেলে ফরহাদ সওদাগর (২০), কোড়ালিয়া রোড়ের মোস্তফা গাজীর ছেলে রিয়াদ গাজী (২৫), তরপুরচ-ী গাজী বাড়ির হাসিম গাজীর ছেলে হাবিব গাজী (২৫), মাদ্রাসা রোড়ের মোস্তফা বেপারীর ছেলে সিদ্দিক বেপারী (২০), ঢালীঘাট দেওয়ান বাড়ির হানিফ দেওয়ানের ছেলে রাশেদ দেওয়ান (২২) ও কয়লাঘাট এলাকার দিলীপ মনি দাসের ছেলে বিপ্লব মনি দাস (২৪)। এজহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ধৃত আসামীরা চাঁদপুর শহরের চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও চোর চক্রের সদস্য। তারা চাঁদপুর শহর ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২) ধারায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য ৫ দিনের রিমা- চাওয়া হয়েছে।
