* সব সময় হাসপাতালে না এসে বাসায় রুগি দেখা
* ১২টা না বাজতেই হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যাওয়া
* হাসপাতালে রুগিদের ট্রেস্ট না করিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে পরিক্ষা করা
* নিজ বাসায় ওয়েসিস এইড ডায়াগনষ্টিক বসিয়ে ট্যাকনেসিয়ান ছাড়া পরিচালনা
* সুস্থ্য ব্যাক্তিকে অসুস্থ্য রুগি বানিয়ে ভুল চিকিৎসা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সিমা আহসানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা , রুগিদের ভুল চিকিৎসা ও রুগিদের হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাঃ নামে কশাইয়ের ন্যায় অর্থপ্রাপ্তির আসায় সুস্থ রুগিকে অসুস্থ বানিয়ে ও ভুল চিকিৎসা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে রুগিদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া ডাঃ সিমা আহসানের নিত্যদিনের কর্ম। সরকারী বেতন ও সুবিধা নিয়ে হাসপাতালের রুগিদের চিকিৎসা না দিয়ে নিয়ম শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত রুগি দেখছেন। ইতি মধ্যে ডাঃ সিমা আহসানের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে উদ্ধত্তন কর্তপক্ষের কাছে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কর্তপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থ গ্রহন করতে চিঠি প্রদান করেছেন। অতীতে চাঁদপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশু মেরে ফেলা ও তার নানান অপকর্মের ঘটনা ধারাবাহিক প্রতিবেদন বহু বার অনেক পত্রিকায় প্রকাশ হলেও ডাঃ সীমা আহসানের খামখেয়ালীপনার চিকিৎসা এখনো বন্ধ হয়নি। মানুষের রক্ত চুষা টাকা দিয়ে ডাঃ সিমা আহসান শহরের ৫তলা ভবন ও নামে বেনামে সম্পত্তি ক্রয় করে কোটি মালিক হয়েছেন। শহরের প্রফেসার পাড়া মোল্লা বাড়ি রোডে নিজ বাড়িতে চিকিৎসার নামে মানুষ জবাইয়ের কশাইখানা গড়ে তুলেছে। নিজ বাসায় ওয়েসিস এইড ডায়াগনষ্টিক বসিয়ে ট্যাকনেসিয়ান বিহীন টেস্ট করে ভুল রিপোর্ট দিয়ে সুস্থ মানুষকে রুগি বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই দম্পতী।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচ তলায় গাইনি বিভাগে ১১৭ নং কক্ষটির দরজায় তালা জুলোন রয়েছে। চিকিৎসার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মহিলা ও মায়েরা নবজাতক শিশুরদের নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ডাক্তারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। কিন্তু ডাঃ সীমা আহসান ১২টা বাজার পূর্বেই হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন ডাঃ সরকারী হাসপাতালে সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের নিজ কক্ষে বসে রুগিদের চিকিৎসা দেওয়া কথা। কিন্তু ডাঃ সীমা আহসান হাসপাতালে নাম মাত্র এসে ১/২ ঘন্টা বসে বহু টাকার আশায় পাইভেট হাসপাতাল ও তার বাসায় গিয়ে রুগিদের জবাইয়ের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। এছড়া যে সকল রুগিরা চিকিৎসা নিতে সদর হাসপাতালে যায় তাদেরকে রোগের ভয় দেখিয়ে শহরের প্রফেসার পাড়া মোল্লা বাড়ি রোডে তার বাসায় নিয়ে বিভিন্ন টেস্টের নামে ওয়েসিস এইড ডায়াগনষ্টিকে অভিজ্ঞ ট্যাকনেসিয়ান ছাড়াই টেস্ট করছে। নামমাত্র টেস্ট করিয়ে ভুল রিপোর্ট দিয়ে সুস্থ মানুষকে রুগি বানিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
শাহতলীর হামানকর্দ্দির খায়রুল বাসারের স্ত্রী শাহিনুর বেগমের বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সিমা আহসানের কাছে গাইনী সমস্যায় চিকিৎসাা নিতে আসে। ডাঃ সিমা আহসান গাইনী চিকিৎস রেখে রুগির ডায়বেটিস আছে বলে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বলে। এ সময় ডাঃ সিমা আহসান সদর হাসপাতালে ট্যাষ্ট ভুয়া বলে আখ্যায়িত দিয়ে প্রফেসার পাড়া মোল্লা বাড়ি রোডে নিজ বাড়িতে ওয়েসিস এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ট্যাষ্টগুলো করতে বলেন। অন্যথায় অন্য কোথাও ট্যাষ্ট করলে রুগির চিকিৎসা করবেন না বলে শাহিনুর বেগমকে সাফ জানিয়ে দেন। শাহিনুর বেগম সিমা আহসানের কথা মত ওয়েসিস এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ট্যাস্ট গুলো করান। ট্যাস্ট রিপোর্ট হাতে আসলে ডাঃ সিমা আহসান বলেন তার অবস্থা ভালো না ডায়াবেটিস ১৩.৮৮ রয়েছে। সেই অনুযায়ী শাহিনুর বেগমকে ডায়াবেটিস এর ঔষধ দেয়। শাহিনুর বেগমের স্বামী খায়রুল বাসারের সন্ধেহ হলে তিনি প্রায় আধা ঘন্টা পর শহরের হাকিম প্লাজার পাশে গ্রীণ ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে এসে আবার ডায়াবেটিস এর পরীক্ষা করায় । এ সময় পরীক্ষা শেষে শাহিনুর বেগমের ডায়াবেটিস নেই বলে রিপোর্টে ৬.৬০ পয়েন্ট ্লখা রয়েছে। এই রিপোর্ট দেখে শাহিনুর বেগমের স্বামী খায়রুল বাসা ডাঃ সিমা আহসানের কাছে গেলে তিনি তার সাথে খারাপ আচরন করে। এদিকে হাসপাতাল কর্তপক্ষ জানায়, ডাঃ সিমা আহসানের ব্যাপক অনিয়ম ও দূরনীর্তি করায় তাকে বেশ কয়েকবার সাবধান করলেও তিনি তার খেয়াল খুশিমত কাজ করেন। এই কারনে উদ্ধর্তন কর্তপক্ষের কাছে ডাঃ সিমা আহসানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হাসপাতাল কর্তপক্ষের চিঠি দিয়েছেন। হাসপাতালে দেড়িতে আসা ও রুগি না দেখে নিজ বাসায় গিয়ে টেস্টের নামে রুগিদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ডাঃ সিমা আহসনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুগি না থাকায় নিজের কাজে বাহিরে গিয়েছি। রুগিরা সদর হাসপাতালে টেস্ট না করালে কি করার আছে তাই নিজের বাসায় নিয়ে টেস্ট করিয়ে চিকিৎসা দেওয় হয়েছে। প্রত্রিকায় আর কতোই লেখবেন কিছুই হবে না বলে ডাঃ সিমা আহসান সাফ জানিয়ে দেন।