সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
চাঁদপুরের কচুয়ায় জামাল হোসেন ওরফে বড় জামাল (৪৭) র্যাবের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। সে কচুয়া উপজেলার পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামের মৃত আদম আলীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই ও ধর্ষণসহ বহু মামলা রয়েছে। কচুয়া থানা সুত্রে জানাযায় মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় উপজেলার বাছাইয়া জাপানী বাবুলের বালুর মাঠ নামক স্থানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দূর্গাৎসবে টহলরত র্যাব- ১১ সদস্য একটি দলের মুখোমুখি হলে ডাকাতদল র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করলে র্যাবও পাল্টা গুলি করে এসময় ডাকাত সর্দার বড় জামাল গুলি বিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় জামালকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় ডাকাত সর্দার জামাল বাহিনীর ফেলে যাওয়া একটি পিস্তল ও দেশীয় বেশ কয়েকটি অস্ত্র র্যাব- ১১ উদ্ধার করে। এদিকে বহুল আলোচিত বড় জামাল নিহতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সকালে এলাকার লোকজন মাইক নিয়ে আনন্দ মিছিলসহ কচুয়া থানা গেইটে এসে তার প্রতি ধিক্কার ও ঘৃণা জানায়। এছাড়া তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার মেঘদাইরসহ আশপাশের প্রায় ১৫টি গ্রামের মসজিদ-মন্দিরে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করে স্থানীয় জনতা। কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান- ঘটনার দিন রাতে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠিয়েছেন। তিনি আরো জানান- ডাকাত সর্দার বড় জামালের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। কচুয়া থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নুরন্নবী ভূইয়া জানান- গ্রেফতারকৃত জুয়েল রানার কাছে নিহত মানিকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। মোবাইল টেকিংকের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গত ১১ আগস্ট ভোরে পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন ডোবা থেকে ব্যবসায়ী মানিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।