স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ আতাহারুল ইসলাম বলেছেন, চাঁদপুর শহরের মেঘনা মোহনা থেকে শুরু হওয়া ডাকাতিয়া নদীর বিভিন্ন অংশে অবৈধ দখলদারদের নানা স্থাপনা রয়েছে। নদীর দু’পাড় দখল এবং নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে নৌ-যান চলাচল করতে পারছে না। গত এক মাস পূর্ব থেকে ইচলী রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই ডাকাতিয়া নদী রক্ষায় অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিআইডাবিস্নউটিএকে উচ্ছেদের উদ্যোগ নিতে হবে।
গতকাল ১৭ জুলাই সোমবার দুপুর ১২টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাকাতিয়া নদী খনন কাজ শুরু হয়েছিলো। কী কারণে বন্ধ রয়েছে, তা জেনে আমরা বিষয়টি নৌ-মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবো। এছাড়া মেঘনা-ডাকাতিয়ায় চাঁদপুর শহরের কী পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ হয় তা নির্ধারণ করে জানানোর জন্যে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরকে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন। আতাহারুল ইসলাম আরো বলেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর ব্র্যান্ডিং হয়েছে। তাই এ জেলার নদীকে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই নদী ধ্বংস করা যাবে না। আগ থেকেই পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ নদী, ক্ষতির সম্মুখীন হলে পুনরায় তা রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মাসুদ হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শরীফ জামিল। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা, ডাকাতিয়া, ধনাগোদা নদীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তাফা তালুকদার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীন।