ডাঃ এস.জামান পলাশ
বিশ্বে কিডনি রোগ একটি ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও ঠিক একইভাবে কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রতি বছর ৩৫ হাজার রোগী কিডনি বিকল হয়ে মারা যাচ্ছে। আমাদের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে কিডনি বিকল রোগের চিকিৎসা থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি সংশিষ্ট রোগ শনাক্ত করে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি বিকল হওয়ার হার কমানো সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন সচেতনতা এবং কিডনি রোগ শনাক্তকরণ কাজ।
আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই ডায়রিয়া থেকেও আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে। কারণ ডায়রিয়া হলে পানিশূন্যতা হয়, যা কিডনি বিকলও করতে পারে। তবে আশার কথা এই যে, আকস্মিক কিডনি বিকল হলে দ্রুত কিডনি ডাক্তারের পরামর্শ নিলে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব। সাধারণ মানুষের জন্য পরামর্শ হলো, ডায়রিয়া হলে যাতে পানিশূন্যতা না হয় সে জন্য সচেতন হতে হবে। পানিশূন্যতা রোধে পর্যাপ্ত পানি এবং স্যালাইন পান করতে হবে। ডাবের পানিও উপকারী। ডায়রিয়া হলে লবণ অর্থাৎ ইলেকট্রোলাইটসেরও অসামঞ্জস্যতা দেখা যেতে পারে। তাই অবশ্যই খাবার স্যালাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা শরীরের পানিশূন্যতা কাটিয়ে লবণের ঘাটতি রোধেও সহায়তা করে। ডায়রিয়া হলে খেয়াল রাখতে হবে প্রস্রাব কম বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিনা, বমি বা বমি ভাব হচ্ছে কিনা। মুখ বা চোখের নিচে অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাচ্ছে, রক্তচাপ কমে যাচ্ছে, হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে, শরীর দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে নেতিয়ে যাচ্ছেথ এসব লণ দেখা দিলে দেরি না করে কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। শুধু রক্ত এবং প্রস্রাব পরীার মাধ্যমেই আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনার কিডনি বিকল হয়েছে কিনা। শুধু ডায়রিয়াই নয়, অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল বা অন্যান্য ব্যথানাশক ওষুধ এবং এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণেও আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ এবং এন্টিবায়োটিক ব্যবহার উচিত নয়। অন্যদিকে উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগে একটি আরেকটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অর্থাৎ যারা দীর্ঘদিন উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তাদের কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। ঠিক একইভাবে যারা দীর্ঘদিন কিডনি বিকল রোগে ভুগছেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। ধমনী, যা হার্ট থেকে রক্তনালির মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত সঞ্চালিত করে তার মধ্যকার রক্তের চাপকে বলা হয় ইষড়ড়ফ চৎবংংঁৎব। রক্ত সঞ্চালিত হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাপ থাকা প্রয়োজন। যদি বড় ধমনীগুলোর প্রাচীর স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে অনমনীয় হয়ে যায় এবং যদি ছোট রক্তনালিগুলো সরু হয়ে যায় তবে উচ্চ রক্তচাপের সূত্রপাত ঘটতে পারে। সিস্টোলিক বাড প্রেসার হার্টের স্পন্দন বা সঙ্কোচন রক্তকে শরীরের মধ্যে সঞ্চালিত করে। সর্বনিম্ন চাপ যাকে ডায়াস্টলিক প্রেসার বলে, যখন হার্টের বিশ্রামরত অবস্থায় হৃদস্পদনগুলো মধ্যবর্তী সময়ের চাপ। শরীরের নরমাল বাড প্র্রেসার হলো ১২০/৮০ সস ড়ভ ঐম।
এছাড়া কিডনি রোগের উপসর্গ দুই ভাবে প্রকাশ পায়। একটি হলোথ আকস্মিকভাবে অন্যটি ধীরগতিতে। ধীরগতির লক্ষ্মণগুলো হলো- প্রস্রাব কম হবে, বমি বমি ভাব হবে ও শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। এছাড়া রক্তশূন্যতা ও উচ্চ রক্তচাপের প্রভাবও থাকবে। কখনো কখনো চেহারায় পানি জমে ফুলে যেতে পারে। এমনকি প্রস্র্রাবের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রোটিন নির্গত হবে। এ কারণে শুধু প্রস্রাব পরীা করেও কিডনি রোগের ধারণা পাওয়া যায়। আর আকস্মিক উপসর্গের মধ্যে যেটা লণীয় সেটা হলো হঠাৎ করে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে
গোড়ালিতে ব্যথা হলেঃ-দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং বয়স বৃদ্ধির কারণে গোড়ালিতে ব্যথা হয়। এক মাইল হাঁটলে দুই পায়ে প্রায় ১২০ টন ওজনের সমান চাপ পড়ে। হিলের হাড় পায়ের হাড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং একে ‘ক্যালকেনিয়াম’ বলা হয়। হাঁটতে শুরু করলে হিলই প্রথম মাটির সংস্পর্শে আসে। পায়ের তলায় পান্টার ফাসা ও ফেঙ্র ডিজিটোরাম ব্রেভিস পেশি ও অন্যান্য পেশি পায়ের স্বাভাবিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এগুলোতে সমস্যা হলে গোড়ালিতে ব্যথা হয়।
লক্ষন=
* ৩০ শতাংশের কম দুই হিলে ব্যথা হয়।
* বাম হিলে প্রথম ব্যথা হয়।
* ৮ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে এবং ৪০ বছরের উর্ধে ব্যথা বেশি হয়।
* ব্যথা হিলের তলায় বা পেছনে হয়।
* বেশিণ হাঁটা বা দাঁড়ানো যায় না।
* সকালে ঘুম থেকে উঠলে বেশি ব্যথা হয় এবং পায়ে ভর দেওয়া যায় না। এরপর আস্তে আস্তে ব্যথা কিছুটা কমে আসে।
* অনেকণ বিশ্রামে থাকার পর মাটিতে পা ফেলতে অসুবিধা হয়।
* খালি পায়ে হাঁটলে বেশি ব্যথা হয়।
* অসমতল জায়গায় হাঁটতে কষ্ট হয়।
* হিল ব্যথার পাশাপাশি পা জ্বলে যাচ্ছে, এমন মনে হয়।
চিকিৎসা ঃ-
* শক্ত জায়গায় খালি পায়ে হাঁটা যাবে না।
* অসমতল ও পাথরের ওপর হাঁটা থেকে বিরত থাকতে হবে।
* উপযুক্ত মাপের জুতা পরা এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর জুতা পরিবর্তন করতে হবে।
* নরম সোল লাগানো জুতা ব্যবহার করা উচিত।
* স্ট্রেসিং ও পেশি শক্তিশালী হওয়ার জন্য ব্যায়াম করতে হবে।
* ফিজিক্যাল থেরাপি, যেমন-এসডাবিউডি, এসটি ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
* বেদনানাশক ওষুধ সেবন করতে হবে।
* স্টেরয়েড ইনজেকশন নিলে সাময়িক ব্যথামুক্ত থাকা যায়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ-
উপরোক্ত সকল সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথি চমৎকার চিকিৎসা আছে,ভালো মানের ও সঠিক মাত্রা ওষুধ খেলে অবশ্যই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যাবে।
============================================
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall