চলতি বছর অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন, উপনির্বাচন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তথ্য জানিয়েছেন। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সভা হয়। সভায় সিলেট-৩, কুমিল্লা-৭ আসনে উপনির্বাচন, স্থগিত ১৬৭ ইউপি, সব ইউপি, নারায়ণগঞ্জ সিটি, জেলা পরিষদ ও ৯ পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে ইসির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জানান, সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নের মধ্যে আমরা মাত্র ২০৪টিতে ভোটগ্রহণ করতে পেরেছি। কমিশন সভায়
সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চার হাজারের মতো ইউনিয়ন, নারারণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, কুমিল্লা-৭ শূন্য আসনের উপনির্বাচন, জেলা পরিষদসহ অন্য নির্বাচন করার। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কমিশন সভায় কোনটার নির্বাচন কবে দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
গত ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর একদিন আগে আদালতের আদেশে ভোট স্থগিত করা হয়। আটকে থাকা সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন হবে ৪ সেপ্টেম্বর।
ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, আদালতের বাধ্যবাধকতা মেনে সিলেট-৩ উপনির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করতেই হবে। এ জন্য ৪ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেছে ইসি। তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার আগ পর্যন্ত।
এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সবশেষে ২১ জুন প্রথম ধাপে ২০৪ ইউপির নির্বাচন হয়। এ সময় ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। গতকালের কমিশন সভায় সব আটকে থাকা ভোট ডিসেম্বরের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬৭ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভা।
এ ছাড়া ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের এনআইডি দেওয়ার বিষয়ে ইসি সচিব জানান, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে। সেই কমিটিতে এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।