শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
ঢাকা কামরাঙ্গীরচর থানায় অপহরণ মামলার আসামী শহীদুল ইসলাম (২২) কে চাঁদপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ধনপর্দি গ্রামের লোকজন তাকে আটক করে থানা পুলিশকে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় আসামীকে ধরিয়ে দেয়ার নাম করে ধনপর্দি গ্রামের দিদার ও ডিস কামাল বাদীর কাছ থেকে ২০হাজার টাকা চাঁদাবাজী করে। পরে তারা আরো ৩০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করায় মডেল থানার এসআই আবু সাঈদের সহযোগিতায় ঢাকা কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক আতিক ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বাবুল (২২) ও জুয়েল (২৩) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য এলাকার দালাল চক্ররা থানায় এসে ভীড় জমায়। এই সময় মুল আসামীকে ধরিয়ে দিলে আটকৃতদের পুলিশ তাদেরকে জানালে তারা আসামী শহিদুলকে থানায় উপস্থিত করায়। পরে বাদীর কাছ থেকে নেয়া ২০হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার পর আটককৃত বাবুল ও জুয়েলকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। অপহরণ মামলার মুল আসামী শহিদুল ইসলামকে আটক করে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আতিক জানায়, গত ৩ জানুয়ারী রাতে কামরাঙ্গীরচর খলিফা ঘাট এলাকা থেকে অষ্টম শ্রেনীর মাদ্রাসার ছাত্রী বোরহান উদ্দিনের মেয়েকে ওই এলাকার বাড়াটিয়া রাজমিস্ত্রি শহিদুল ইসলাম প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায়। সেই ঘটনায় মেয়ের বাবা বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর শুনে ঘটনার ৪দিন পর মাদ্রাসার ছাত্রীকে তারা এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায়। বোরহান উদ্দিন তার মেয়েকে চাঁদপুরের বিষ্ণপুরে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে অহপরণকারী শহিদুল ইসলাম মেয়েকে নেয়ার জন্য চাঁদপুরে এসে মেয়ের চাচাত ভাই আবুল হোসেন মিজির ছেলে রাসেলের সরনাপন্ন হয়। পরে অপহরণকারী শহীদুল ইসলাম মেয়ের বাবাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাসেল সুযোগ বুঝে ছেলে কাছে মেয়েকে উঠিয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা আদায় করে। তেমনি মেয়ের বাবার কাছ থেকে রাসেল তার সহযোগী ধনপর্দি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে দিদার ও ডিস কামালের সহযোগিতায় উভয় মিলে অপহরণকারীকে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। বুধবার রাত পুলিশ সিভিলে বাদীর সাথে বিষ্ণুপুরের ধনপর্দি গ্রামে যায়। এই সময় দিদার ২০হাজার টাকা নেওয়ার পর তাকে ধরিয়ে না দিয়ে পুনরায় ৩০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার এসআই আবু সাইদের সহযোগিতায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বাবু ও জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়।