গত সোমবার ঢাকার মাইন এন্ড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকশেন নামের বেসরকারি হাসপাতালে নির্যাতনে নিহত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী আনিসুল করিমের হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে চাঁদপুরের দু সহোদর ভাই।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কেরামত উল্যাহ গাজী বাড়ির মোঃ মজু গাজীর ছেলে সোহাগ ও সজীব। তারা দু ভাই এ হাসপাতালের অংশীদার। পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার ঘটনার সাথে তারা দু ভাই জড়িত বলে জানা যায়।
গতকাল দুপুর ১২টায় রঘুনাথপুর গ্রামের কেরামত উল্যা গাজী বাড়িতে সরেজমিনে গেলে তাদের ঘরে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে প্রবেশ করতেই হাতের বাম পাশে রয়েছে বিলাসবহুল বিল্ডিং। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে শাহজাহান গাজীকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, মজু গাজী আমার বাড়ির সম্পর্কীয় ভাতিজা। তার দু ছেলে সোহাগ ও সজীব ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা শুনেছি। তারা বাড়িতে কেউ নেই। এই বিল্ডিং মজু গাজীরা দু ভাই যৌথভাবে করেছে। পূর্ব পাশের অংশ মজু গাজীর। মজু গাজীর এক ছেলে সোহাগ ডাক্তার অপর ছেলে সজীব ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, সজীব হাসপাতালে যায়। ম্যানেজারের কক্ষে বসে। ঘটনার সময় সজীব হাসপাতালে ছিলো।
একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালের শেয়ার হয়ে দুভাই অনেক অর্থের মালিক হয়েছে অল্প সময়ে। তাদেরকে ডাক্তার হিসেবে অনেকে জানেন। সজীব ডাক্তার না হয়ে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে সজীব ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ বাড়ির এক যুবক বলেন, এসব তাদের কাছে কিছু নয়। জায়গা মতো যোগাযোগ করা হচ্ছে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। লেখালেখি করে কী হবে?