শওকত আলী :
পরিবারের সবার সাথে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতেই বাড়ি যেতে শুরু করেছে হাজার-হাজার যাত্রী। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে মানুষ বাড়ি ফিরতে বিভিন্ন পরিবহণে ভিড় করছে। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ যোগে বাড়ি ফিরছে মানুষ। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে উপচে পড়া ভিড় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সবকয়টি লঞ্চই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিন চার গুণ বেশী যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়ছে।
ইতি পূর্বে ঘোষণা হয়েছে আগামী দুই তারিখে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে তাই পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঢাকার বসবাসকারীরা লঞ্চ, বাস যোগে বাড়ি ফিরছে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে। ঘাটে রুহুল আমিন নামে ঢাকা থেকে আসা এক যাত্রী জানায়, ঢাকা লঞ্চ ঘাটে প্রচন্ড ভিড়। বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা ঘাটে ভিড় করছে তাই লঞ্চে উঠতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তবুও আমি আনন্দিত যে আমার পরিবারের সাথে আমি ঈদ করতে পারব। ঢাকা থেকে সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি লঞ্চেই ছাদ বোজাই যাত্রী দেখা গেছে। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চাঁদপুর জেলা ছাড়াও লক্ষীপুর,নোয়াখালী,রায়পুর,রামগঞ্জ ও পাশর্^বতী জেলা শরিয়তপুরে শত-শত যাত্রী নাড়ির টানে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে আসছে।
ঈদকে সামনে রেখে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় একটুও কমেনি। সকল যাত্রী নিয়স্ত্রণ হারিয়ে লঞ্চে উঠে ছুটছে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। শিশু,মহিলা,পুরুষ ও যুবকরা প্রতিটি লঞ্চে উপচেপড়া ভিড় থাকার পরও তারা জ্জ গুণ যাত্রী হয়ে জীবনবাজি রেখে লঞ্চে উঠছে। প্রতিটি লঞ্চে কেবিন,প্রথমশ্রেনীর,বিজনেস শ্রেনী, ২য় শ্রেনী ,তৃতীয় শ্রেনীর আসন ভরপুর হয়ে যাওয়ার পরও ডেকে – মেঝেতে বসে যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা করছে। ঢেউ ও ¯্রােতের তোড়ে নদীর মাঝখানে আসলে যাত্রীর ভারে টলমল করতে থাকে। যে কোন সময় লঞ্চ এক দিকে কাত হয়ে ডুবে যেতে পারে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা বিরাজ করছে। এমভি রিপল, এমভি সোনার তৈরি, এমভি সোনার তৈরি-২, মেঘনা রাণী, বোগদাদীয়া-৭, এমভি যমযম-১, এমভি মিতালী-৪ লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে ভিরেছে। এই বিষয়ে বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, আবহাওয়ার অবস্থা ভালো থাকলে আশা করি যাত্রীরা সুন্দরভাবে ঈদ পারাপার করতে পারবে। দক্ষিণ অঞ্চলের জন্য অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীর চাপ থাকলে সেগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থা পাঠানো হবে। বিআইডাব্লিটিএর পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘাটে কন্ট্রোল রুম রয়েছে।
পুরো লঞ্চ ঘাটটি সিসি ক্যামেরা ধারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সেচ্ছা সেবক হিসেবে রাখা হয়েছে স্কাউট। চাঁদপুর নৌ-থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আবুল হাসেম জানায়, ঘাটে যাত্রী নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সাথে রয়েছে জেলা পুলিশ সদস্য, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস এবং একটি মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে কোনো রকম সমস্যা ছাড়াই আমার যাত্রী পারাপার করতে পারব।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতিও লঞ্চ মালিক প্রতিধিনি বিপ্লব সরকার জানান,স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী এখন আসছে। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে জাহাজ ধিরগতিতে চলছে। ছাদে যাত্রী নিচেছনা। ভিতরে বেশী যাত্রী নেওয়া হচেছ।