শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর পুরানবাজারে কাজের মেয়ে তানজিলা আক্তার (৯) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় মূল হোতা নান্টু ও হাকি গাজিকে ৩ দিনের রিমন্ডাতে নিয়েছে পুলিশ। হত্যার ঘটনার সময় রাজ সাক্ষী নিহত তানজিলার খেলার সাথী জোস্নার ছোট মেয়ে নূসরাত দির্ঘদিন উধাও থাকার পর তাকে শরিয়তপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ তানজিলা হত্যাকান্ডে মূল ঘটনার বেশ কিছু গুরুত্তপূন্ন তথ্য পেয়েছে বলে জানা গেছে। আটক নান্টু ও হাকি গাজিকে রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল রহস্য উদঘাটন হবে বলে ধারনা করছে পুলিশ। সোমবার জেলা কারাগার থেকে আটক দুই জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। তানজিলা হত্যা কান্ডে ঘটনায় প্রথম দিন পুলিশ ৩জনকে আটক করার পর বাকীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। পরে মামলার আসামী নান্টু ও হাকি গাজী আদালতে সরন্নাপন্ন হয়। এসময় আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আসামীদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে তানজিলা হত্যাকান্ডের ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। দীর্ঘদিন যাবত মামলার এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামীরা পলাতক থাকার পর অবশেষে আদালতে হাজিরা দিয়ে গিয়ে আটক হয়। মূল আসামীদের বাচাতে ও হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি দালাল চক্র বিভিন্ন বলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, নিহত তাসজিলা আক্তারের মা বেগম দীর্ঘ ৯ মাস পূর্বে তার খালাতো বোন জোস্নার কাছে মেয়েকে স্কুলে পড়াশুনা করানোর স্বর্তে কাজে দেয়। গত ফেব্রুয়ারী মাসের সোমবার বিকেলে তাছলিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে টয়লেটের ভিতরে লুকিয়ে রাখার পর তার লাশ সেখান থেকে বের করে রাতের আধাঁরে চরে নিয়ে গুম করার পায়তারা করে। তানজিলা আক্তার (৯) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় ঘাতকদের বিচার ও ফাসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পুরানবাজার মার্চ্চেন্টস একাডেমীর ছাত্রছাত্রীরা।