খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপের মামলার বিচার শুরু হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এ মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে ইস্যু গঠন করে সাক্ষ্য শুরুর দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষ সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রেখেছেন আদালত।
৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপের অভিযোগে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অর্থ ঋণ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার মূল আসামি আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ হিসাবে মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি, মেয়ে জাহিয়া ও জাফিয়া রহমানকে এ মামালায় বিবাদী করা হয়। তাদের পক্ষে ইস্যু গঠনের শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।
মুদ্রাপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কোকো সপরিবারে মালয়েশিয়ায় থাকা অবস্থায় গতবছর জানুয়ারিতে কুয়ালালামপুরে মারা যান। সে সময় কোকোকে দাফনের জন্য দেশে এলেও পরে মেয়েদের নিয়ে মালয়েশিয়ায় ফিরে যান শামিলা। বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডে রয়েছেন বলে বিএনপি নেতাদের তথ্য।
ড্যান্ডি ডায়িং মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদের মৃত্যুর পরও তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকেও বিবাদী করেছিল সোনালী ব্যাংক।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড, খালেদার ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেকের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগম।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে তিন কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড। ১৯৯৩ সালের ৫ মে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ নেন বিবাদীরা। এরপর ১৯৯৬ সালে সাঈদ এস্কান্দারের আবেদনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবার ঋণ মঞ্জুর করে।
২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ড্যান্ডি ডায়িংকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, বারবার তাগাদার পরও যা পরিশোধ করেননি বিবাদীরা।