স্টাফ রিপোর্টার:
২৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে পুরো আওয়ামী লীগ পরিবারে এখন ব্যাপক আলোচনা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। কে হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক-এ আলোচনা এখন রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বত্র। বর্তমানে ক্ষমতাসীন এ দলটির অভিভাবকের দায়িত্ব কার উপর ন্যাস্ত হলে দল সুসংগঠিত হবে, দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসেবে চাঁদপুর জেলাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন কোন্ যোগ্য নেতৃত্ব সে হিসাব-নিকাশ এখন করছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
গত ক’দিন চাঁদপুর জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতার সাথে আলাপ করলে তাদের কাছ থেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ক’জনের নাম পাওয়া যায়। তাঁদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ আলোয় আলোকিত। তাঁদের একজন হচ্ছেন ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু। যাঁর পিতা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ভাষা সৈনিক মরহুম এম এ ওয়াদুদ পাটওয়ারী। যাঁর একমাত্র বোন ডাঃ দীপু মনি এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। আর ডাঃ টিপু নিজে পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি ডায়াবেটিক ফুট সার্জারী বিশেষজ্ঞ। দলের বেশ কিছু নেতার বক্তব্য হচ্ছে_ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত সাত বছরে চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী এলাকায় যত উন্নয়ন কর্মকা- হয়েছে তা আমাদের এমপি ডাঃ দীপু মনির মাধ্যমে হয়েছে। আর তাঁর সকল উন্নয়ন কর্মকা- তদারকি করেছেন ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু। সাত বছর তিনি চাঁদপুরের রাজনীতিতে প্রচুর সময় দিয়েছেন। সে সুবাদে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে তাঁর একটা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তাঁর উপর অর্পিত হলে তিনি দলের জন্য আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
নেতা-কর্মীদের এ অনুভূতির ব্যাপারে কথা হয় ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপুর সাথে। তিনি জানান, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবার এ দেশ গড়ার ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে। মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো তাঁর। ভাষা সৈনিক হিসেবে তিনি স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ায় বঙ্গবন্ধু পরিবারকে আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি, আমাদের পরিবার বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য পেয়েছে। আমরা আমাদের পিতার আদর্শে গড়ে উঠেছি, তাঁর কাছ থেকে রাজনীতি শিখেছি। আমার বোন ডাঃ দীপু মনিরও সেভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসা। তিনি টানা সাত বছর চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন, বিগত সরকারের পূর্ণ মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শকে অনুসরণ করে চলি। সাত বছর যাবৎ চাঁদপুরে ডাঃ দীপু মনির উন্নয়ন কাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম। দলের নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে পাশে ছিলাম। বৃহত্তর আওয়ামী পরিবারের তৃণমূল থেকে শুরু করে সিনিয়র অনেক নেতা-কর্মীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে দল এবং দেশকে কিছু দেয়ার শক্তি, সামর্থ্য ও ইচ্ছা অবশ্যই রয়েছে। আমার বোন দীপু মনির যেভাবে রাজনীতিতে আসা, আমারও সেভাবে রাজনীতিতে আসা। এখন দল যদি চায় চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমার ভূমিকা রাখার প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে যে কোনো দায়িত্ব নিতে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত। সর্বোপরি আমি চাঁদপুরের বৃহত্তর আওয়ামী পরিবারের সাথে থাকতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। সে লক্ষ্যে চাঁদপুরবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।