চাঁদপুরে রোটারী ক্লাবের সহযোগীতায় বিনামূল্যে ১০ বছর শত-শত শিশুকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে এক বিড়ল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ফার্মাসিস্ট ও মেডিকেল এসিস্টেন্ড চিকিৎসক এ এম রবিউল বারী। চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের কর্মকর্তাদের সাথে ও শিশু রোগীদের অভিভাবকদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের একজন শিশু চিকিৎসক (বিশেষজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার) বর্তমানে প্রেসক্রিপশন ফি সর্বনিম্ন ৫শ’ টাকা নিয়ে থাকেন। গরীব, দুঃস্থ্য শিশুদের অভিভাবকরা এত টাকা খরচ করে শিশুদেরকে দেখানো সম্ভব হয়ে উঠেনা। যার ফলে অনেক শিশু অকালে মৃত্যু বরণ করে থাকে। অনেকে ডাক্তার দেখাতে পারলেও ঔষধ ক্রয় করার ক্ষমতা থাকে না তাদের। এসব দুঃস্থ্য অসহায় ০ থেকে ১২ বছরের বয়সি শিশুদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেন ৬নং ওয়ার্ডের আনসার ভিডিপি দল নেতা ফার্মাসিস্ট ও মেডিকেল এসিস্টেন্ড এএম রবিউল বারী। এসব শিশুদের চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে পেলেও তাদের ঔষধ সামগ্রি প্রদান করে থাকেন, রোটারী ক্লাব চাঁদপুর। তারা রোটারী দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে বিনা মূল্যে ঔষধ পত্র দিয়ে যাচ্ছেন বহু বছর যাবৎ। রোটারী যেমন আত্মমানবতায় সেবায় নিয়োযিত, তেমনি ঔষধ পত্র দিয়ে চাঁদপুরে সেবার মান বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি বিগত প্রায় ১০বছর যাবত শহরের বড় বড় চিকিৎসকের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার আলোকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে এ শহরে শিশুদের ক্ষেত্রে বিড়ল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চিকিৎসক এএম রবিউল বারী। অনেক অর্থশালী বড়মাপের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ১ মাস ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছেন এমন নজির এ সমাজে নেই। আনসার ভিডিপি দলনেতা ফার্মাসিস্ট ও মেডিকেল এসিস্টেন্ড এএম রবিউল বারী দীর্ঘ প্রায় ১০বছর নিজের মেধাশ্রম দিয়ে রোটারী ক্লাবের দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রতি শুক্রবার ১শ’ ৫০ থেকে ২শ’ শিশু রোগীকে সেবা দিয়ে গিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছেন। যা’এ সমাজে বিড়র দৃষ্টান্তর সৃষ্টি করেছে। এ প্রতিভাবান ফার্মসিস্টকে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে সে সমাজের অসহায় মানুষের জন্য আরও সেবা দিতে পারবে।
চিকিৎসক এএম রবিউল বারী প্রতিশুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দেড়শ’ থেকে ২শ’ শিশুকে সেবা দিয়ে থাকেন। তার এ সেবা পেয়ে শহর ও শহরতলির অভিভাবকরা আনন্দিত ও স্বস্তিবোধ করছেন বলে জানান। চাঁদপুর রোটারী ক্লাব অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের রোটারীর ব্যানারে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যা বর্তমানে সমাজে এক বিড়ল দৃষ্টান্ত ও প্রশংসার দাবিদার। অভিজ্ঞ মহলের মতে এসব সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, বিনা মূল্যে ঔষধ সরবরাহ করে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে এসে দাড়িয়ে যে সেবা দিচ্ছে তার জন্য সরকার তাদেরকে আরও বেশি করে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য সুযোগ করে দেওয়ার প্রয়োজন। এর পাশাপাশি যেসব চিকিৎসক ফ্রি প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে শিশু সহ বিভিন্ন পর্যায়ের রোগীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকেও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।