ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার রাতে ভূমিষ্ট হয় একটি শিশুর। জন্মের পরই তার নাম রাখা হয় সোহবান। শনিবার সকাল ৯টায় সদ্যজাত সোহবান নড়াচড়া করছে না দেখে অভিভাবকরা ছুটলেন চিকিৎসকের কাছে। পরীক্ষা করে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের হাতে ধরিয়ে দেন শিশুটির ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ)।
সোহবানকে দাফন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে। সেখানে গোসল করানোর সময় সে ফের নড়াচড়া করে ওঠে। এরপর শিশুটিকে ফের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে সোহবান।
শিশুটির বাবা কেরানীগঞ্জের চুনকুঠিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম। মা সুলতানা আক্তার।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুলতানা আক্তারকে শুক্রবার রাত ১০টায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর এক ঘণ্টা পরই পুত্র সন্তানের জনক হন জাহাঙ্গীর। নাম রাখেন সোহবান। তিনি জানান, সোহবানকে ২১১ নম্বর নবজাতক ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে তার নানী হনুফা বেগমের কাছে ছিল সে। সকাল ৯টায় সোহবান নড়াচড়া না করলে চিকিৎসককে জানানো হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে তার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন।
তিনি জানান, এরপর ভায়রা এজাজ খানকে সঙ্গে নিয়ে সোহবানকে দাফন করার জন্য আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানকার অফিস সহকারী নুরুল হুদা শিশুটিকে গোসল করাতে গেলে ফের সে নড়াচড়া করে ওঠে। আবার তাকে নিয়ে আসা হয় ঢামেক হাসপাতালে। বর্তমানে সোহবান সুস্থ আছে বলে জানান তার বাবা।
আজিমপুর কবরস্থানের এক অফিস সহকারী এ খবর নিশ্চিত করে জানান, শিশুটি জীবিত আছে টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। তবে শিশুটিকে মৃত সন্দেহেই এখানে নিয়ে আসা হয়েছিলো বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিচের ভিডিওতে এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী ইসলামের বক্তব্য শুনুন
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।