বিশেষ প্রতিনিধি
নারী নির্যাতন শব্দের আড়ালে প্রায়ই পুরুষ নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়। সামাজিক ও আইনী দায়বদ্ধতার কারণে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাগুলো অনায়াসেই ঢাকা পড়ে যায়। এমনি এক পুরুষ নির্যাতিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চাঁদপুর জেলার শাহরাসত্দি উপজেলার টামটা এবং কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুরের আদিবাসী স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার দাম্পত্য কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
আশ্রাফপুর গ্রামের মোঃ আবুল কালামের সাথে শাহরাসত্দির টামটা গ্রামের মোসাম্মৎ সালমা আক্তারের ১৯৯৭ সালের ১৩ জানুয়ারি বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালমা আক্তারের অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরার কারণে সংসারে অশানত্দি নেমে আসে। স্বামী ও তার আত্মীয় স্বজনের কথা অমান্য করে নিজের খেয়াল খুশিমত চলতে গিয়ে সালমা তার স্বামী আবুল কালামের কষ্টার্জিত অর্থ দেদারছে খরচ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে স্বামীর গচ্ছিত নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বিয়ের দুই বছরের মাথায় সালমা বাবার বাড়ি চলে যায়। নিরুপায় হয়ে ১৯৯৯ সালের ২২ ডিসেম্বর স্বামী আবুল কালাম চাঁদপুর জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব কাজী মোজাম্মেল হোসেনের মাধ্যমে সালমাকে নিজ গৃহে ফিরে আসার জন্য একটি উকিল নোটিস প্রেরণ করে এবং পরবর্তীতে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে তারা আবারো দাম্পত্য জীবন শুরু করে। এ অবস্থায় তাদের ঘরে দুটি পুত্র সনত্দান জন্ম লাভ করে। সনত্দান জন্মানোর পরে সালমা আক্তার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে স্বামীকে শারীরিকভাবে অৰম বলে অভিযোগ তুলে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বাবার বাড়ি চলে গিয়ে স্বামীকে অন্যত্র বিয়ে করে তাকে মুক্তি দেয়ার কথা বলে। এক পর্যায়ে উভয় পৰের সম্মতিতে দেন মোহর ও ভরণ পোষণ সম্পূর্ণ বুঝে নিয়ে সালমা আক্তার স্বামী আবুল কালামকে ২০১৩ সালের ২৮ জুন রেজিস্টার্ড কাজীর মাধ্যমে খোলা তালাক প্রদান করে। কিন্তু নিরীহ আবুল কালামের শানত্দি এর পরও হয়নি। পুনরায় সালমা অর্থ দাবি করায় আবুল কালাম টামটা দৰিণ ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করলে ইউনিয়ন পরিষদের পৰ হতে সালমা আক্তারকে তিনবার সমন জারি করলেও সে অবজ্ঞা করে সমাধানে আসতে চায় নি।
এক পর্যায়ে আবুল কালাম পুনরায় দাম্পত্য জীবন শুরু করতে গিয়ে আগের স্ত্রীকে তালাক দেয়ার বেশ ক’মাস পরে জোৎস্না বেগম নামে একটি নিরীহ এতিম মেয়েকে বিয়ে করে একটু সুখী হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিধিবাম। কেন পুনরায় বিয়ে করলো এজন্য ৰিপ্ত হয়ে সালমা আক্তার আবুল কালামের বিরুদ্ধে সহজ অস্ত্র হিসেবে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে হয়রানি আর অপদসত্দ করতে থাকে। সুযোগ সন্ধানী বিভিন্ন দুষ্ট মানুষের সাথে মিল করে সালমা অসহায় আবুল কালামকে জেলে নিয়ে হয়রানি করতেও দ্বিধা করেনি। সর্বস্বানত্দ হয়ে আবুল কালাম এখন বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আগের স্ত্রী ঘরে তার ঔরসজাত দু’টি সনত্দান প্রয়োজনে নিজের কাছে রেখে এতিম অসহায় জোৎস্না বেগমকে নিয়ে একটু সুখী সংসারের আশায় সে পথ চেয়ে আছে।