চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের দাসেরগাঁও গ্রামে জনৈক আবদুস সালাম সোহেল বকাউলের পারিবারিকভাবে ব্যবহৃত উন্মুক্ত সৌচাগারের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে একই বাড়ির ১০টি পরিবারের লোকজন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘ এক দশক পূর্বে এই সৌচাগারটি তারা ব্যবহার করে আসছে। বাড়ির লোকজন তাদেরকে এটি ব্যবহারের জন্য বিরত থাকতে বললেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি।
সরেজমিন ওই বাড়ীতে গিয়ে দেখাগেছে, বাড়ীর পাশে খালের মধ্যে এই সৌচাগারের ময়লা আবর্জনা পড়ে। যার কারণে খালের পানি দূষিতসহ ময়লার গন্ধ পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এসব কারণে বাড়ীর শিশু ও বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তসহ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত ২০ বছরের অধিক সময়ের আগ থেকে প্রত্যন্ত চাঁদপুরের গ্রামাঞ্চলের লোকজন স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ব্যবহার করে আসছেন। সরকারের নির্দেশনা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (এনজিও) এর মাধ্যমে লোকজন স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেটের উপকারিতা জানতে পেরে উন্মুক্ত সৌচাগার বর্জন করে আসছে। গ্রামাঞ্চলে এখন এই ধরণের উন্মুক্ত সৌচাগার নেই বললেই চলে। কারণ স্বল্প ব্যয়েই স্বাস্থ সম্মত টয়লেট তৈরী করা সম্ভব।
ওই বাড়ীর বাসিন্দা ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম বকাউল জানান, আবদুস সালাম সোহেল ও তার পিতা শাহাদাত বকাউলকে উন্মুক্ত সৌচাগার বন্ধ করে স্বাস্থ সম্মত টয়লেট ব্যবহারের জন্য বার বার তাগিদ ও অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা পিতা-পুত্র উভয়েই বাড়ীর লোকদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে। তারা কোন ভাবেই ওই উন্মুক্ত সৌচাগার বন্ধ করতে রাজি না। মূলত তারা বাড়ীর লোকদের সাথে শত্রুতা বসত: পরিবেশ দূষণ করার কাজে লীপ্ত রয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য খোকা পাটওয়ারীকে উন্মুক সৌচাগারটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করার জন্য বেশ কয়েকবার বলা হলেও তিনি আইনত কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগীরা চাঁদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় চেয়ারম্যান এর নিকট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও উন্মুক্ত সৌচাগারটি বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
সংবাদদাতা/চাঁদপুরনিউজ/