মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে দু’টি জাহাজের সংঘর্ষে ১৩শ’ মেট্রিক টন ক্লিংকার নিয়ে এমভি চিতলমারী নামের একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া জাহাজের ১২জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরিসভা এলাকার মেঘনা পাড়ে একটি ছোট কাঠের ট্রলারকে বাঁচাতে গিয়ে এমভি চিতলমারী ও এমভি হেকমত নামের লাইটারেজ জাহাজের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে এমভি চিতলমারী জাহাজের তলা ফেটে যায়। মুহূর্তে জাহাজটি ডুবতে শুরু করলে জাহাজের মাস্টার-সুকানীসহ ১২জন নদীতে লাফিয়ে পড়ে। এদের মধ্যে ৫জন সাঁতরে পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় উঠতে সক্ষম হয়। বাকি ৭জন নদীতে থাকা অন্যান্য জাহাজ উঠিয়ে নেয়। সাঁতরে পুরাণবাজারে ওঠা নাবিকরা হচ্ছেন- জাহাজের মাস্টার ফরিদপুর জেলার আমিনুজ্জামান, সুকানী গোপালগঞ্জ জেলার মো. দ্বীন ইসলাম, ফরিদপুর জেলার আব্বাসউদ্দীন, একই জেলার মতিউর রহমান ও আল-আমিন।
জাহাজের মাস্টার আমিনুজ্জামান জানান, গত ৪দিন পূর্বে এমভি চিতলমারী জাহাজটি প্রায় ১৩শ’ মেট্রিক টন ক্লিংকার (সিমেন্টের কাঁচামাল) নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীর ঘোড়াশালে যাচ্ছিলো। চাঁদপুর হরিসভা এলাকায় একটি ছোট কাঠের ট্রলারকে সাইট দিতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি হেকমতের সাথে সংঘর্ষ ঘটে সাথে সাথে আমাদের জাহাজটির তলা ফেটে যায় এবং এক পর্যায়ে আমাদের জাহাজাটি (এমভি চিতলমারী) ডুবতে থাকে, টের পেয়ে আমরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তিনি আরো জানান, ডুবে যাওয়ার পর আমিসহ ৫ জন সাঁতরে পুরাণবাজারে উঠি। জাহাজের ৭ জনকে নদীতে থাকা অন্য জাহাজ উদ্ধার করে। তারা সুস্থ আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পরে কোস্টগার্ড ধাওয়া করে এমভি হেকমত জাহাজটিকে আটক করে কোস্ট গার্ড স্টেশনে নিয়ে আসে।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।