চাঁদপুর জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী শীর্ষ সরকারি দুটি উচ্চ বিদ্যালয় যথাক্রমে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’টি শ্রেণীতে মোট ৪৮০টি আসনে ভর্তির জন্যে ২হাজার ৮শ’ ২৫টি আবেদন করা হয়। কিন্তু আবেদনের প্রেক্ষিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২ হাজার ৭শ’ ৯৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। এ দুটি বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণীর দুটি করে শিফ্টে প্রতি আসনের বিপরীতে গড়ে ৬জন ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নিতে হয়েছে।
গতকাল ১৯ ডিসম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের ৪টি কেন্দ্রে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ ও হাসান আলী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়।
হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পযন্ত দুটি শিফ্টে ক্লাস চলে। প্রথম শিফ্ট মর্নিং ও ২য় শিফ্ট ডে নামে অভিহিত। এ দুটি শিফ্টের ভর্তির জন্যে মোট ১০১২ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ও চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মর্নিং শিফ্টে ভর্তির জন্যে ৫৪৭ জন এবং ডে শিফ্টে ভর্তির জন্যে ৪৬৫ জন ছাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
একই নিয়মে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণীর দুটি শিফটে ভর্তির জন্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মর্নিং শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় ৯৩৪জন ছাত্রী এবং ডে শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭২১ জন ছাত্রী অংশ নিয়েছে।
দুটি বিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম ২ হাজার ৮শ’ ২৫টি বিক্রি হলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি ১৫৮ শিক্ষার্থী।
এ দুটি বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়। এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও মাতৃপীঠ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দাউদ হাসান চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী ও হাসান আলী সরকারি উচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সদর উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতমাসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
৪টি কেন্দ্রেই সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। অভিভাবকদের ভিড় ছিলো কেন্দ্রগুলোর সামনে প্রচ-, যে কারণে শহরব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয়গুলোর সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার মধ্য ফলাফল প্রকাশ করা হয়।