ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান /
এম এ আকিব,শরীফুল ইসলাম ॥
চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড ওয়ার্লেস বাজার মৃদ্ধা বাড়ি রোডে চৌকিদার বাড়িতে স্ত্রী স্বামীকে ঘোপন অঙ্গে লাথিমেরে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার বিকেল ৫ টায় দেবরের সাথে পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ার জের ধরে স্বামীকে লাথি মেরে হত্যা করায় বিচারের দাবীতে এলাকা বাসী বিােব করে। খবর পেয়ে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাইউমের নেতৃত্বে এসআই মানিক, এসআই হামিদ, এসআই খালেকুর জ্জামান সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শেষে ঘাতক স্ত্রী মাফুজা বেগক (৩৫) কে নিয়ে আসে। নীহত স্বামী সৌদী আরব প্রবাসী আবু সাইদ ( ৪৫) কে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মৃদ্ধা বাড়ি রোডে মৃত খলিলুর রহমান চৌকিদারের ছেলে আবু সাইদ সেনের দীঘির পাড় পাটওয়ারী বাড়ির সুলতান পাটওয়ারীর মেয়ে মাহফুজা বেগমকে দীর্ঘ ২০ বৎসর পূর্বে বিয়ে করে। সাংসারিক জীবনে তার সৈকত ও সাগর নামে দু’টি ছেলে জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই আবু সাইদ সৌদী আরবে চলে যায়। সেখান থেকে তার স্ত্রী মাহফুজা বেগমের একাউন্টে টাকা পাঠাত। কিন্তু ঘাতক মাহফুজা স্বামীর সাথে বেইমানী করে তার দেবর মীজান চৌকীদারের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। স্বামীর পাঠানো টাকা পরকীয়া দেবরের সংসার চালাতেন। তাদের পরকীয়া প্রেমের ঘটনা এলাকায় জানা জানীহলে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার হাতে নাতে মাহফুজা বেগমকে ও তার দেবর নিজামকে আটক করে। কিন্তু মাহফুজা এলাকাবাসীকে নারী নির্জাতন মামলার হুমকী দিয়ে সেই যাত্রায় পার হয়ে যায়। স্বামী আবু সাইদ স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনা জানতে পেরে এক বৎসর ৩ মাস পূর্বে দেশে চলে আসে। তার
পরেও ঘাতক স্ত্রী মাহফুজা বেগমের পরকীয়া প্রেম থেমে নেই। নিহত আবু সাইদের এক তলা ভবনের বাড়ি করা স্বতেও তার ঘরে গ্যাসের সংযোগ না নিয়ে মাহফুজা বেগম তার দেবরের চৌচালা বাঙ্গা ঘরে নিজের টাকায় গ্যাসের লাইন স্থাপন করে। কারণ রান্নার অজুহাত দেখিয়ে প্রতিদিন দেবরের সাথে প্রেম নিবেদন করতে তার ঘরে গিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করেন। ঘটনার দিন দেবর মিজানের বসত ঘরে মাহফুজা বেগম যাওয়ার পর উভয়ের আচার আচরন সন্দেহ জনক হওয়ায় স্বামী আবু সাইদ তাদেরকে বাধা দেয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ বিতন্ডের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ঘাতক মাহফুজা বেগম স্বামী আবু সাইদের ঘোপন অঙ্গে লাথি মারলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর নিশ্চিত হওয়ার পর মাহফুজা বেগমের দেবর মিজান চৌকিদার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ঘাতক মাহফুজা বেগমকে আটকে রেখে মডেল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় মাহফুজা বেগম জানায়, তার বড় ছেলে সাগরকে চাচা জাহাঙ্গির পাটওয়ারীর মাধ্যমে ওমানে পাঠালে ৩ মাস পর সে দেশে ফিরে আসে। ঘটনার দিন বিকেল ৫টায় স্বামী আবু সাইদ ছেলের বিদেশে পাঠানো টাকা নিয়ে বাগ বিতন্ড হলে আবু সাইদ গলায় চাপা দিলে তাকে ঘুষি মারার পর ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী জানায়, ঘাতক মাহফুজা বেগম দীর্ঘ বছর যাবৎ দেবর মিজানের সাথে পরকীয়া প্রেম করে আসছিল। মিজান হাজিগঞ্জে বিয়ে করারপর তার ভাবী মাহফুজা বেগম জোর করে তাকে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় এবং মানিষ নির্জাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাদের এই অপকর্ম এলাকাবাসী কয়েকবার প্রতিবাদ করেও কাজ হয়নি। পুলিশ ঘাতক মাহফুজা বেগমকে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার শত শত মহিলা পুরুশ একত্রিত হয়ে হত্যার বিচারের দাবীতে মিছিল বের করে ও বিােবে ফেটে পরে। এঘটনায় ঘাতক মাহফুজা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক দেবর নিজাম চৌকিদারের বিরুদ্ধে মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।