ঢাকা: যে কোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে পার্টির প্যাডে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
ছাপা অক্ষরে লেখা এরশাদ তার বার্তায় বলেছেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মারাত্মক সঙ্কটময়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় যে প্রতিকূল অবস্থা চলছে তা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্কিত। জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মী এবং আমার বিশ্বাস দেশবাসীও অবগত আছেন যে, আমি বর্তমানে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অন্তরীণ অবস্থায় আছি। আমি আরো আশঙ্কা করছি যে, আমাকে যে কোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করা হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবচেনা করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেশ ও দলের স্বার্থে জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কাদের এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে দায়িত্ব প্রদান করছি।’
চিঠিতে সর্বশেষ তিনি বলেন, ‘জাতির জীবনে এই দুর্যোগময় মুহূর্তে জাতীয় পার্টির সকল নেতাকর্মী, সমর্থকবৃন্দ ও দেশবাসীকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।’
তবে চিঠিতে এরশাদের স্বাক্ষর থাকলেও তারিখ কিংবা সূত্র কিছুই নেই।
এদিকে জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ১২ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে র্যাব-২ এর হাতে আটক হন। এরপর তাকে নেয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। যদিও প্রশাসনের দাবি এরশাদকে চিকিৎসার জন্য সেখানে রাখা হয়েছে। কিন্তু এক বিবৃতিতে তাকে আটক রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন এরশাদ।
এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ তার দলের নেতাদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না।’
এর আগে এরশাদ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে বর্তমান ‘সর্বদলীয়’ সরকারে তার ছয় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন এবং এবজন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হন।