দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে দেশের বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী মূসা বিন শমসেরের কোনো সম্পদের হদিস মেলেনি। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও (বিএফআইইউ) অনুসন্ধান করে দেশে তার কোনো ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অস্তিত্ব পায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে শুধু ফরিদপুরে তার গ্রামে পৈত্রিক ভিটার অস্তিত্ব মিলেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) একজন কর্মকর্তা বলেন, মেসার্স ডেটকো লিমিটেড নামে একটি জনশক্তি রফতানি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মুসা বিন শমসের। এর অংশীদারিত্বে আরও কয়েকজন রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকায় দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে এ ব্যবসায়ীর ব্যক্তি নামে কোনো অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একসময়ে জনশক্তি রপ্তানিতে ব্যবসা সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি থাকলেও গত কয়েকবছর ধরে ডেটকো নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানেই পরিণত হয়েছে। (প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান: বাড়ি নম্বর-৫৭, রোড নম্বর-১, ব্লক-১, বনানী, ঢাকা)
দুদকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, তিনি বারবার মিডিয়ায় মুখরোচক আলোচনার খোরাক জুগিয়েছেন তার পরিকল্পিত এবং খেয়ালি কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। তবে দেশে কিছু না থাকলেও বিদেশে তার প্রচুর সম্পদ থাকতে পারে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।
দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, তার বিপুল পরিমাণ সম্পদের কথা আমরা শুনেছি। তিনি কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন এবং সুইস ব্যাংকে যে টাকা জব্দ রয়েছে বলে প্রচার হচ্ছে সে টাকার উৎস কি, দেশ থেকে কোনো অর্থ পাচার করেছেন কি-না এগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।
দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত মুসার বিরুদ্ধে দুদক কোনো অবস্থানে যাওয়ার মতো প্রাপ্ত তথ্য পায়নি। সুইসব্যাংকে তার জব্দকৃত ৫১ হাজার কোটি টাকার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে দুদক আইনি সহায়তার জন্য শিগগিরই সুইজারল্যান্ডে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠাবে।
কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশে রহস্যময় ব্যবসায়ীর নাম মুসা বিন শমসের। প্রিন্স মুসা বলেও তার পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু কেন তিনি প্রিন্স, তার বিপুল সম্পদের উৎসইবা কী- সে তথ্য এখনও রয়ে গেছে অজানা। তবে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তিনি অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত।
সূত্র: বাংলানিউজ