এম.সাখাওয়াত হোসেন মিথুন হাজীগঞ্জ-
বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। গতকাল হাজীগঞ্জ বাজারে এক লিটারের তীর মার্কা বোতলজাত সয়াবিন তেল এক টাকা বেড়ে ১৩৪ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। একই ভাবে হাজীগঞ্জে নিত্যপণ্যের বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। একই অবস্থা মাছের ক্ষেত্রেও। গতকাল হাজীগঞ্জ বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, আদা ও পিয়াজের দাম মোটা দাগে বেড়েছে। এর মধ্যে পিয়াজের দাম কেজিতে ১০-১২ টাকা বাড়ে। গতকাল দেশি পিয়াজ পাইকারি ৫২ ও খুচরা ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে কমেছে ডিমের দাম। সবজির বাজারে নতুন মটরশুঁটি ৩০০ ও আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৪ টাকায়। মসুর ডাল দুই টাকা বেড়ে ১৩৫ ও খেসারি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। মুগ ডাল চার টাকা বেড়ে ১১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও আটা ও ময়দার দাম কেজিতে দু-তিন টাকা বেড়েছে। মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দু-তিন টাকা। তবে আমনের মৌসুম শুরু হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে চালের দাম কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বাকিলা ও বলাখাল বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। নতুন কাঁচা টমেটো ৪০-৪২, পাকা টমেটো ৮৫-৯০, শসা ৪৫, ঢেঁড়স ৩২, কাঁকরোল ৩০ ও ঝিঙ্গা ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৪০-৪২ টাকায়। ছোট সাইজের একটি লাউ ৪০ টাকার কমে মিলছে না। আর মাঝারি ৫০-৫৫ ও বড় আকারের লাউ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা আবদুল মজিদ ভূইয়া অভিযোগ করেন, সবজির দাম কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ছে। এদিকে মাছের বাজারে দেশি কৈ ও শিংয়ের সরবরাহ বেড়েছে। দামও নাগালের মধ্যে। এ ছাড়া বেলে ছোট, প্রতি কেজি ২০ টাকা কমে ৩৬০-৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফাইসা ২৮০, বোয়াল ২০০, পুঁটি ২২০ ও শিং প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৪৫০ টাকায়। এ ছাড়া রুই ছোট ২২০, মাঝারি ৩৫০ ও বড় আকারের বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। কাচকি ২৯৫, মলা ২৯০, বাতাসি ৩৮০, টেংরা ৩৬০, ইলিশ ছোট ৪০০, মাঝারি ৭০০ ও বড় আকারের ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মাংসের দাম স্থিতিশীল। তবে ক্রেতা কম। দেশি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগির বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।