প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জে ধর্ষিত এক কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। তবে, ধর্ষিতাকে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ১ লাখ টাকা ভাগাভাগি করেছে দালাল ও পুলিশ। দিন মজুরের কন্যার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে খোদ থানায় বসেই এ কাজটি করেছে এলাকার প্রভাবশালীরা। ঘটনা ঘটেছে শনিবার মধ্যরাতে।
পুলিশ ও ঘটনার শিকার কিশোরী জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও পার্শ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার চরপাতা গ্রামের মোস্তফার ছেলে জসীম (২৫) সম্পর্কে একে অপরের তালাতো ভাই-বোন। কিশোরীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকায়। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর সূত্র ধরে গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১১টায় জসিম কিশোরীকে ফোনে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় জসীমের আপন বোন রায়পুরের চরপাতা গ্রামের ঠাকুর বাড়ির সেলিনা (স্বামী ইব্রাহীম)-এর নির্জন পাকা বসতঘরে। সেখানে কিশোরীকে রাত ভর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জসিম। এরপর ভোরের সূর্যোদয়ের পূর্বে জসিম কিশোরীকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে রায়পুর থেকে ফরিদগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথে ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়ায় টহল পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিশোরী পুলিশকে ঘটনা খুলে বলে। এতে, পুলিশ তাদের দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
দুপুরে খবর পেয়ে জসিমের পক্ষে প্রভাবশালী লোকজন জসিমকে ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করে। সারাদিন দর কষাকষি শেষে শনিবার রাত ১২টায় কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ হয় দেড় লাখ টাকা। তবে, কিশোরীর বাবার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে কিশোরীকে বের করে দেয়া হয় থানা থেকে। আর এক লাখ টাকা ভাগাভাগি করে নেয় দালাল ও পুলিশ।
এদিকে, কিশোরীর বাবা ৫০ হাজার টাকা বুঝে পাওয়ার কথা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, জসিমের লোকজন জসিমের বাড়িতে বিয়ে দেয়া আমার বড় মেয়েকে তালাকের হুমকি দিয়ে আমাকে মামলা করতে দেয়নি।
ওদিকে, ঘটনা সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার এসআই সুধাংশু জানান, কিশোরীর বাবা মামলা করতে রাজী হয়নি তাই দু’জনকে তাদের অভিভাবকের জিম্বায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ষিতার মেডিক্যাল টেস্টসহ মামলার প্রক্রিয়া কেন করা হলো না। এমনি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা হয়নি তাই। তবে, কোনও টাকা পয়সা লেনদেনের কথা তিনি স্বীকার করেন নি।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।