চাঁদপুর: চাঁদপুরের একটি আদালত ধর্ষণ মামলায় এক মাদরাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়া তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ধর্ষণের শিকার মেয়েটির সন্তানের ভরণ-পোষণের খরচ বহনেরও নির্দেশ দেয়া হয়। আজ সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুল করিম এই রায় দেন। এ সময় দণ্ডিত মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল জলিল (৫৫) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জলিল হাজীগঞ্জ উপজেলার কাপাইকাপ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার আরবির প্রভাষক ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, ২০১০ সালের ৩ অগাস্ট জলিল জায়গীরবাড়ির ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটিকে (১২) ধর্ষণ করেন। এরপর মাদরাসার শিক্ষকরা মিলে জলিলের সঙ্গে শিশুটির বিয়ে পড়িয়ে দেন। কিন্তু মেয়েটির বাবা এ বিয়ে না মেনে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি জলিলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি সীমা জহুর হাই কোর্টে একটি রিট করেন। এরপর হাই কোর্টের নির্দেশে মেয়েটিকে মহিলা আইনজীবী সমিতি তাদের হেফাজতে নেয়। ২০১১ সালের জুন মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির একটি কন্যা সন্তান হয়। মা-মেয়ে এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে মহিলা আইনজীবী সমিতির সেলফ হোমে রয়েছে। পিপি হাবিবুল ইসলাম আরো বলেন, আদালতের নির্দেশে জলিলের এবং জন্ম নেয়া শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় জলিলই শিশুটির জন্মদাতা।
শিরোনাম:
রবিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।