এম. সাখাওয়াত হোসেন (মিথুন):
বাজারে দুধের চাহিদা বাড়ে আর এই সুযোগটা কাজে লাগায় অসাধু ব্যবসায়ীরা। এরা দুধে ইচ্ছা মতো ভেজাল মিশায় । ভেজাল দুধ বিক্রি করে হাতিয়ে নেয় অনেক মুনাফা। গত গয়েকদিন ধরে হাজীগঞ্জে চলছে দুধে ভেজাল মিশানুর হিড়িক। আর ভেজাল মিশানো দুধ কৌশলে জেলাধীন অন্তরভূক্ত হাজীগঞ্জ বাজারেই বিভিন্ন ভাবে বিক্রয় হচ্ছে। হাজীগঞ্জ উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এসব নকল দুধের ব্যবসা করছে বলে জানাযায়। আজ ভেজাল দুধ খেয়ে স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ । সংযম পালন করতে গিয়ে অনেকেই আক্রান্ত হয় নানান জটিল রোগে। এসব দুধ পান করে শিশুরাও আক্রান্ত হয় নানান রোগে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী বিষাক্ত ক্যামিকেল মেশাচ্ছে দুধে। ক্যামিকেল গুলো হচ্ছে দুধের ননী, খাইসোডা, পারঅক্সাইড, ফরমালিন ও কাটিং ওয়েল মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভেজাল দুধ। এরা পানিতে বিষাক্ত পাউডার, নার্কেলের রস ও মেলামাইন মিশিয়ে তা দুধ হিসেবে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ উঠছে। আবার এই দুধ যেন দির্ঘ সময় নষ্ট না হয় এই জন্যে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। তাছাড়া খাটি দুধ বিক্রি করে আসানো রূপ মুনাফা না হওয়ায় তরল দুধ ব্যবসায়ীদের অনেকেই খাবার পানির সংঙ্গে ফরমালিন, কাটিংওয়েল, পারঅক্সাইড, খাইসোডা ও দুধের ননী মিশিয়ে নকল ভেজাল তৈরি করছেন। প্রতি ৩৭ লিটার খাবার পানিতে ৩লিটার দুধের ননী ৫০ গ্রাম খাইসোডা কয়েক চামচ পারঅক্সাইড, ফরমালিন ও কাটিংওয়েল মিশিয়ে কেন (চল্লিশ লিটার) ভেজাল দুধ তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারির অভাবে বর্তমানে ভেজাল ও নকল দুধ তৈরির বিষয়টি ওপেন সিক্রেট । এই জন্যে বেশ খোলামেলা ভাবে ভেজাল ও নকল দুধ তৈরি করে বিভিন্ন বেসরকারী দুগ্ধ শিতলি করন কেন্দ্রে সরবারহ করে আসছে অসাধুরা। দেশে তরল দুধের বেপক চাহিদার কারণে বারচে গো খামারি ও দুগ্ধ সরবরাহ কারি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা দুগ্ধ খামারে তরল দুধ সংগ্রেহের পর থেকেই গন্ত্যবে পৌছানোর আগেই এক শ্রেণীর অসাধু লোক ও মদ্ধ্যসত্য ভূগির অসাধু চক্র তরল দুধের সংঙ্গে নানা খতিকারক ক্যামিকেল ও ভেজাল মিশিয়ে দেয়। বিভিন্ন কোম্পানীর বাজারে পক্রিয়া জাত করন দুধ বিক্রি করছে কিন্তু এসব দুধে সঠিক পরিমানে পুষ্টি নেই। এই দুধ পান করার পর মানুষের লিভার ও কিডনী মারাত্বক ভাভে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে যেহেতু দুধের তৈরি খাবার বেশি খায় তাদের সংঙ্গে শিশুরাই এসব খাবার বেশি খায় সে জন্য শিশুদের বেশি পরিমানে ক্ষতি গ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রশাসনের উচিত এসব ভেজাল দুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এখনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।