স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকায় বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন হীরা শিল্পালয়ের সত্বাধিকারী আবুল হোসেন পাটওয়ারী ও তার পুত্র কামরুল পাটওয়ারীকে সম্পত্তিগত বিরোধে বিভিন্ন হয়রানি করে আসছেন পার্শ্ববর্তী রুহিপদ শাহা গংরা।
অভিযোগে আবুল হোসেন পাটওয়ারী জানান, তিনি দির্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছেন। এক সময় তিনি স্বর্ণ ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতিও ছিলেন। বর্তমানে তারিই বড় ছেলে কামরুল পাটওয়ারী ওই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এ দোকানেরই লাগুয়া বেশ কিছু জায়গা তিনি খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে তার নিজ মালিকীয় জায়গায় নির্মান কাজ করতে চাইলে রুহিপদ শাহা তার ভাই, ভাতিজা ও আত্মীয় স্বজন সহ বেশ কয়েকবার তাদের কাজে বাঁধা দিয়ে উল্টো আবুল হোসেন পাটওয়ারী ও তার পুত্রকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির স্বিকার করে। এ বিষয় নিয়ে পৌরসভায়ও কয়েকবার মিমাংসার জন্য বৈঠক হলে পৌর কর্তৃপক্ষ কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে আবুল হোসেন পাটওয়ারী পক্ষে রায় দেয় এবং তারা নতুন বাজার এলাকায়ও কয়েকবার বৈঠক করেন। রুহিপদ সাহা গংরা পৌরসভা ও এলাকার শালিস বৈঠক তাদের মন মতো না হওয়ায় তা প্রত্যাখান করে আদালতে মামলা দায়ের করে। গত ২৫ তারিখে আবুল হোসেন পাটওয়ারী তার খরিদকৃত সম্পত্তিতে কাজ করতে গেলে রুহিপদ সাহার লোকজনরা তাদের কাজে বাঁধা প্রয়োগ করে তাদের কাজের লোকদেরকে মারধর করে পরে আহত শ্রমীকদেরকে উদ্ধার করে হাসপতারে ভর্তি করা হয়। তারা মুক্তিযোদ্ধা ও সনাতন ধর্মের পরিচয় দিয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে তার ছেলে কামরুলকে পুলিশ দারা আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গতকাল আদালতের মাধ্যমে সে জামিনে মুক্তি পায়।
এ বিষয়ে হিরা শিল্পালয়ের সত্বাধিকারী আবুল হোসেন পাটওয়ারীর বড় ছেলে কামরুল জানায়, আমাদের নিজ জায়গায় আমরা কাজ করতে গেলে উল্টো আমাদের কাজের লোকদের মারধর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে আমাদেরকে হয়রানি করছে। তারা এ ভাবে একের পর এক এ ধরনে কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সু-বিচারের প্রার্থনা করছি।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।