মতলব প্রতিনিধি :মেঘনা নদীতে অভয়াশ্রম কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দশানী-মোহনপুর অঞ্চলের মেঘনা নদীতে অভিযান করতে গিয়ে ইউএনও আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পান। বিষয়টি নিয়ে প্রানে বেঁচে আসা ইউএনওসহ সাথে থাকা অন্যদের সাথে কথা হলে তারা জানান, রাত ৯টার দিকে মেঘনা নদীর দশানী-মোহনপুর অঞ্চলে নদীর মধ্যখানে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ নিয়ে স্প্রীট বোট এবং ট্রলার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছিল। নদীর মধ্যখানে বড় একটি জেলে নৌকাকে আটক করে নদী থেকে জাল তোলা অবস্থায় ঢাকার সদরঘাট থেকে হুলারহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বিশাল আকৃতির এমভি আচল-৬ নামক লঞ্চটি দূর থেকে লাইট মেরে স্প্রীট বোট ও ২টি ট্রলার থামা অবস্থায় দেখা সত্বেও প্রথমে কিছুটা দূর দিয়ে যাওয়া শুরু করলেও পরে কাছে এসে হঠাৎই যেনো থেমে থাকা এই বোটগুলোর ওপর দিয়েই চালিয়ে দেয়। তাৎক্ষনিক ট্রলার দু’টি কিছুটা সড়ে যেতে পারলেও স্প্রীট বোটটি আর সড়ে যেতে পারেনি। ২টি ট্রলার ও স্প্রীট বোটে লোক ছিলো ১৩ জন। নিশ্চিত মৃত্যু দেখে স্প্রীট বোটে থাকা মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা ও মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই তৈয়বুর রহমান নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রানে রক্ষা পান। তার পরেও লঞ্চটি তাদের শরীর ঘেষেই গিয়েছে বলে জানান বেঁচে আসা এই কর্মকর্তাগন। পরে লঞ্চটিকে চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছার পূর্বমুহুর্তে কোষ্টগার্ড ও চাঁদপুর বিআইডবিউটিএ এর সহযোগীতায় ধরা সম্ভব হলেও লঞ্চে বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের কথা চিন্তা করে তাৎক্ষনিক লঞ্চটিকে ছেড়ে দেয়া হলেও পরে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনে সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আল্লাহ নিজ হাতে না বাঁচালে এমন পরিস্থিতি থেকে বেঁচে আসা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।