
হাসপাতাল থেকে পেটের নাড়ি ভুড়ি কলিজা বের হওয়া অবস্থায় স্বজনদের হাতে নবজাজতের লাশ প্যাকেট করে তুলে দেয়ার ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নবজাতক শিশুটির বাড়ি উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম দায়চারা গ্রামে। ঘটনার ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় ডাঃ মাহমুদা বেগমকে অভিযুক্ত করে শিশুটির নানী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের হয়েছে (নং- ২১। তাং ২৩/৩/২০১৭)।
নবজাতকের নানী সাজেদা বেগম জানান, তার মেয়ে খাদিজা (২০) এর প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার রাতে একজন সিনিয়র ভিজিটরের পরামর্শ মতে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিজারের পরামর্শ দেয়। পরে রাত ১১টায় খাদিজার সিজারিয়ান অপারেশন হয়। হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদার সিজারিয়ান অপারেশন করেন বলে সাজেদা বেগম জানান। সিজারিয়ান অপারেশন শেষে হাসপাতালে কর্মকর্তারা শিশুটি মৃত ভুমিষ্ট হয়েছে বলে জানিয়ে প্যাকেটজাত অবস্থায় শিশুটির লাশ দ্রুত তাদের কাছে দিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। সকালে শিশুটিকে দাফন করার জন্য প্যাকেট খুললে দেখতে পান ভিন্ন চিত্র। নবজাতকের পেটের নাড়ি ভুড়ি ও কলিজা বের হওয়া। পাশে পড়ে রয়েছে সিজারের কাজে ব্যবহৃত কাচিসহ আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি। পরে তারা শিশুটিকে ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে সেন্ট্রাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বেলাল জানান, রাতে কি হয়েছে তা তিনি জানেন না। সকালে এসে তিনি ঘটনা জানতে পারেন। ঘটনার ব্যাপারে জানতে ডাঃ মাহমুদার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, শিশুটি জন্ম হওয়ার সময় পরিপূর্ণতা নিয়ে আসেনি। তার পেটের ওয়াল ছিল না। ফলে পেটের ভিতরের সব কিছু বের হয়ে গেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ্ আলম জানান, ঘটনার ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় ডাঃ মাহমুদা বেগমকে অভিযুক্ত করে শিশুটির নানী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, শিশু মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। অপরাধ হয়ে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।