মতলব উত্তর: মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ভাটি রসুলপুর গ্রামের হাফেজ রবিউলের নববধূ মিতু আক্তার (১৯) বসতঘরের ফ্যানের সাথে পড়নের ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মতলব উত্তর থানায় এ ব্যাপারে মৃত মিতুর পিতা জিয়াউল হক বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গজরা ইউনিয়নের সদরদিয়া গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে মিতু আক্তারের সাথে ১৫-১৬দিন পূর্বে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নে ভাটি রসূলপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে হাফেজ রবিউল এর সাথে শরিয়ত মতে বিবাহ বিবাহ হয়। বিবাহের পর সুখেই কাটছির তাদের দাম্পত্য জীবন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিবাহের পূর্বে হাফেজ রবিউল ডুবগী জামে মসজিদের ইমামতি করতো। ইমামতি করা অবস্থায় মিতু আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে পারিবারিক সম্মতিতে বিবাহ হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মিতু আক্তার ¯^ামীর বাড়ি রসূলপুরে নাওর যায়। এদিকে বিবাহের পূর্বে হাফেজ রবিউল ডুবগী জামে মসজিদের ইমামতি ছেড়ে এনায়েতনগর জামে মসজিদে চাকুরী নেয়। শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজ পড়াতে হাফেজ রবিউল স্ত্রীকে রেখে মসজিদে যায়। নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে স্ত্রী মিতুকে ডাকতে থাকে। কিন্তু মিতু ভিতর থেকে দরজা খুলে না দেখে জানালা খুলে দেখতে পায় স্ত্রী মিতু ঘরের ভিতরে থাকা ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। তার ডাক চিৎকারে বাড়ি- আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। মিতুর বাবার বাড়িতে খবর দেয়।
মিতুর বাবা বাদি হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। মতলব উত্তর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ মনির হোসেন লাশ উদ্ধার করার পর সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন বলেন, লাশের গায়ে কোন প্রকার চিহ্ন দেখা যায়নি। মৃত্যুর কারন সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।