মতলব প্রতিনিধি
মতলব দক্ষিণে নারায়ণপুর ইউনিয়নের সারপাড় গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে নিহত নববধূ জেসমিনের পিতা মিজানুর রহমান পাটোয়ারীসহ পরিবারবর্গ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অপরদিকে জেসমিনের ভাসুর মিজানুর রহমান লিটন পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে বর্তমানে পালিয়ে থাকায় রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় সচেতন মহলের মাঝে নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, জেসমিনের মৃত্যু রহস্যজনক। এ মৃত্যুর সাথে ভাসুর মিজানুর রহমান লিটন জড়িত রয়েছে। সে এ ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলে পালিয়ে থাকবে কেন?
জেসমিনের পিতা প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, মেয়ের মৃত্যুর পর পরই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ ঐ এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। জেসমিনের স্বামী ও তিন ভাসুর প্রবাসে থাকায় কথায় কথায় তারা টাকার অহঙ্কার দেখায়। তারা বলে, টাকায় কিনা হয়? টাকা দিলে এদেশে সব কিছুই সম্ভব। এছাড়া জেসমিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার করে বলে, ঘটনাটি হত্যা হোক আর আত্মহত্যাই হোক টাকা দিয়ে আমরা সব ম্যানেজ করবো। এছাড়া ময়না তদন্তের রিপোর্ট তাদের পক্ষে নেয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে জেসমিনের প্রবাসী স্বামী নাসির প্রধানের সাথে যোগাযোগের জন্য ভাসুর মিজানুর রহমান লিটনের স্ত্রীর কাছে মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এছাড়া তার স্বামী নাসির প্রধান প্রবাসে থাকা অবস্থায় ভাসুর মিজানুর রহমান লিটন তার অপকর্ম ঢাকতে জেসমিনের কাছ থেকে জোরপূর্বক একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখেছে। এ নিয়েও রহস্য দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর বিকেলে নওগাঁও গ্রামের মিজানুর রহমান পাটোয়ারীর একমাত্র মেয়ে সারপাড় গ্রামের মৃত মনু প্রধানের প্রবাসী ছেলে নাসির প্রধানের স্ত্রী জেসমিন আক্তারের ঝুলন্ত লাশ তাদের সেমিপাকা ভবনের আড়া থেকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।