রিফাত কান্তি সেন:-
বর্ষার শেষ আর শরৎতের আগমনে মা এসেছিলেন ধরনীতে। দূষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনে যুগে যুগে মা আসছেন ধরনী তে। এমন টা ই বিশ্বাস সনাতনী ধর্মালম্ভীদের। প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও মা এসেছিলেন শরৎতের প্রাক লগ্নে। পিতৃগৃহ ছেড়ে স্বামীর ঘরে আবার ও ফিরে যাচ্ছেন দেবী।
১৮ তারিখ ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছিলো শারদীয় দূর্গাউৎসব। আজ (২২-১০-২০১৫) নবমী ও দশমী পূজার লগ্ন এক সাথে হওয়ায় বিষাদের যন্ত্রনায় ভূগছেন দেবী ভক্তরা। যেতে নাহি দিতে চাই,তবু যেতে দিতে হয়। কিন্তু দেবী মত্যে ছেড়ে কৈলাশে গেলে ও দেবী ভক্তরা আজও করবেন আনন্দ।
এবার দেবী দূর্গা মত্যে এসেছিলেন ঘটকে,যাবেন দোলায়। তবে এ বছর শেষবারের মত মা কে দর্শন করতে জেনো মন্দির গুলোতে উপছে পরা দর্শনার্থীদের ভিড়। সকল অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে শান্তি সংস্থাপনকারিনী, শুভ শক্তির বার্তা পৌছে দিবেন মানব জাতির কাছে।
হানাহানি ভূলে গিয়ে মানুষে মানুষে তৈরি হবে ঐক্য। অহংকার ভূলে গিয়ে ধনিরা পাশে দাড়াবেন দারিদ্রের,বিশ্ব মানবতায় আসবে অপ্রতুল পরিবর্তন। এমন টা ই বিশ্বাস সনাতন ধর্মালম্ভীদের। ভক্তরা বিশ্বাস করেন এ বছরের মত আগামী বছর ও মা আসবেন ধরনীতে, তার পিতৃগৃহে। ধনধান্যে পুস্পে ভরবে ধরনীকে।
এবার ফরিদগঞ্জের ১৬ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্টিত হলো শারদীয় দূর্গাউৎসবের। যার মাঝে অন্যতম ফরিদগঞ্জের লক্ষীনারায়ন জিয়ড় আঁখড়া,কড়ৈতলী শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম। কথা বলেছিলাম কড়ৈতলী শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রধান উপদেষ্টা জনাব সমরেন্দ্র মিত্র,সভাপতি- চন্দন কুমার দে,সহ-সভাপতি রাজন চন্দ্র দে।
তারা আমাদের জানান এবার তাদের পূজা যথাযত ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ছিলো স্বাভাবিক। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।আর তাই আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সকল ধর্মের মানুষের একাগ্রতায় মুগ্ধ তারা।
তারা জানান প্রতিবছর ই কড়ৈতলীর হিন্দু, মুসলিম, সকলে সকলের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যে যার যায়গা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছেন। এ সময় পূজা মন্ডপে আরো উপস্থিত ছিলেন,চাঁদপুর জেলার, ফরিদগঞ্জ থানার,৮ নং (দঃ) পাইকপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এর আহব্বায়ক রাজন শেখ, অন্যতম ছাত্রলীগের সক্রীয় কর্মী রাছেল, অপু,রাকিব সহ আরো নাম না জানা অনেকে। অসাপ্রদায়িক গ্রামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কড়ৈতলী
। ছবি: কড়ৈতলী শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম।