নাক বন্ধের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই নাক বন্ধের অনেক কারণ রয়েছে। যেসব কারণে সাধারণত নাক বন্ধ হতে দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে নাকের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা ও নাকের হাড় বাঁকা উলেখযোগ্য। নাকের অ্যালার্জি জনিত সমস্যায় সাধারণত হাঁচি হয়, নাক দিয়ে টলটলে পানি পড়ে, নাক চুলকায়, নাকের গহ্বরে দু’পাশে অবস্থিত মাংসপেশিগুলো ফুলে উঠে নাক আংশিক বন্ধ হয়ে থাকে। অ্যালার্জিজনিত এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ওষুধের চিকিৎসাই অধিকাংশ েেত্র যথেষ্ট। অন্যদিকে নাকের হাড় বাঁকার কারণে নাক বন্ধ হলে সেেেত্র ওষুধের চিকিৎসায় সমস্যা দূর করা যায় না। নাকের হাড় বাঁকা হওয়ার এ সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ডিএনএস বা ডেভিয়েটেড ন্যাজাল সেপ্টাম। অর্থাৎ নাকের মধ্যবর্তী দেয়ালটি একদিকে হেলে যাওয়া বা বেঁকে যাওয়া।
নাকের হাড় বাঁকা হওয়ার কারণ :
নাকের মধ্যবর্তী এই দেয়ালটি গড়ে উঠে হাড় বা অস্থি এবং তরুণাস্থির সমন্বয়ে। কাজেই এ অস্থি এবং তরুণাস্থির যে কোনোটি কিংবা উভয় অংশটি বাঁকা হতে পারে। গবেষকদের মতে, জন্মগত কিছু বিষয়, জন্মকালীন আঘাত কিংবা জন্মপরবর্তী আঘাতই নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বাঁকা হওয়ার অন্যতম কারণ। বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বাঁকা হওয়ার বিষয়টি সাধারণত ১৬ বছর বয়সে স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছায় এবং তারপর সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা অনুযায়ী তা উপসর্গ নিয়ে আবির্ভূত হতে থাকে।
বাঁকা হওয়ার উপসর্গ :
নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বাঁকা থাকার বিষয়টি অধিকাংশ েেত্রই বাইরে থেকে বোঝা যায় না। নাক পর্যবেণ করেই একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ সহজেই বিষয়টি চিহ্নিত করতে পারেন।
এর ফলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয় সেগুলো হলো :
নাকের পথটি আংশিক বন্ধ থাকে। নাকে সবসময় সর্দি লেগে থাকতে পারে। অনেকে নাক বন্ধ থাকার কারণে গলার মধ্যে প্রায় সবসময় ‘কিছু একটা আটকে আছে’ এই অনুভূতি ব্যক্ত করে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। কেউ কেউ মাথাব্যথায় ভোগে থাকেন।
চিকিৎসা : হোমিও চিকিৎসাঃ-
নাকের হাঁড় বাঁকা অপারেশান ছাড়াই হোমিও চিকিৎসায় সোজা করা যায় এবং নাক বন্ধ হওয়া ঠিক হয়ে যাবে।তবে ৬/৫ মাস চিকিৎসা নিতে হবে ।প্রথম মাসেই রোগের অসস্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে।
এ্যালপ্যাথি চিকিৎসাঃ-
নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বাঁকা হওয়ার কারণে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন। অপারেশনের মাধ্যমে নাকের এই মধ্যবর্তী দেয়ালের বাঁকা অস্থি ও তরুণাস্থি ফেলে দেওয়া হয়। ফলে নাকের দুই পাশের পথ প্রায় সমান ও স্বাভাবিক হয়ে যায়। নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বেশি বাঁকা হওয়ার কারণে সৃষ্ট সমস্যা প্রকট হয়ে থাকলে ৮-১০ বছর বয়সেও নাকের এই অপারেশন একটু পরিবর্তিত রূপে করা হয়ে থাকে। নাকের মধ্যবর্তী দেয়াল বাঁকা হওয়ার কারণে সৃষ্ট সমস্যা অপারেশনের পর অনেকটাই চলে যায়। তবে ইতোমধ্যে এ কারণে জটিলতা দেখা দিয়ে থাকলে তার চিকিৎসাও করাতে হবে। যেমনথ সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে থাকলে সাইনাস ওয়াশ করাতে হবে। পরিশেষে একটি কথা জেনে রাখা দরকার, এ ধরনের সমস্যায় নির্দেশনা থাকার পরও অপারেশন না করলে পরবর্তীতে সাইনাসের ইনফেকশন, মাথাব্যথা, কান বন্ধ হওয়া, কানে পানির মতো তরল জমে যাওয়া, কানে ইনফেকশন হয়ে কানের পর্দা ফুটো হয়ে কান দিয়ে পুঁজ পড়ার মতো জটিলতা হতে পারে।
=================================================================
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট -www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall