ষ্টাফ রিপোর্ট ঃ
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নতুন পরিচালক যোগদান করার পরপরই অভিনব কায়দায় পরিচালিত হচ্ছে পাসপোর্ট অফিস। দেশে নানা প্রকার দুর্ণীতি চলছে। সারা বাংলাদেশের সকল পাসপোর্ট অফিস ষ্টাফদের ১২ প্রকারের দুর্ণীতি করার প্রশিক্ষণ দেয় হেড অফিস। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে আবেদনকারীর হয়রানী দিন দিন বেড়েই চলেছে। অফিস প্রধান বিপুল কুমার গোস্বামী সরাসরি কোনো ঘুষ, এল.আর বা চেনেল ফি না নিয়ে অফিস ষ্টাফ আবু বকর ছিদ্দিক, ওমর ফারুক ও বাসু দেবের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্ণীতি করে যাচ্ছে। অফিসের সামনে পরিস্কার রেখে লোক দেখানো খোলা মাঠে গোল দিতে চাইছে বিপুল কুমার গোস্বামী। ওমর ফারুকরা ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধির মতো সকল উপজেলায় পাসপোর্টের কাজ আনতে ভিজিট করেন ওমর ফারুক নিজেই। সর্বপ্রথম হাজীগঞ্জ উপজেলা ভিজিট করেন আজিজ এন্টারপ্রাইজ, কাকলী স্টুডিও, বনানী স্টুডিও ইত্যাদি দোকানে গিয়ে সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে চ্যানেল ফি ১১০০ টাকা ও পাসপোর্ট উত্তোলনের জন্য ১০০ টাকা মোট ১২০০ টাকা দিলেই পাসপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত সকল কাজ সম্পন্ন হবে বলে প্রস্তাব করেন। ওমর ফারুককে হাজীগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় দালাল আলী হোসেন পাটওয়ারী প্রকাশ নাম হোসেন পাটওয়ারী প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন। পাসপোর্ট অফিসের সামনে বিরাজমান সকল আবেদনকারীর সহায়ক তথা যারা আবেদন ফরম লিখেন, ফটোকপি করেন, সত্যায়ন করতে সহযোগিতা করেন তাদেরকে কোনো অপরাধ ছাড়াই অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ মাসের জেল প্রদান করেন অফিস প্রধান বিপুল কুমার গোস্বামী। নিজে ঘুষ নেন না বলেই এমন অভিনয় করেন। যার ভুক্তভোগী নিরীহ সাধারণ মানুষগুলো যাদের পরিবারে দ্বিতীয় উপার্জনক্ষম কোনো ব্যক্তি নাই। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে নিয়ে আসলে কোনো টাকা ছাড়াই ফিঙ্গার প্রিন্ট করতে পারবে বলে সকল তথ্য কেন্দ্রে মৌখিক ও লিখিত চিঠি প্রেরণ করেন। তথ্যকেন্দ্রের কর্মচারীদের ফরম পূরণ করার পদ্ধতি শেখান তিনি। অথচ সেখানেও তথ্যকেন্দ্রের কর্মচারীদের মাধ্যমে চ্যানেল ফি নেওয়ার আলামত পাওয়া গেছে। বরং আবেদনকারীর সহায়করা আবেদনপত্র জমার পূর্বের সকল কাজ করে দিয়ে নেন ৫০-২০০ টাকা। আর তথ্যকেন্দ্রে ব্যাংক, অফিস ঘুষ ও পুলিশ রিপোর্টের নাম করে সাধারণ জমা ফাইলে খরচ নেন ৬৫০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত। জনৈক এক আবেদনকারী জানান তথ্যকেন্দ্র থেকে সহকারী পরিচালকের কোনো এক টেলিটক নাম্বারে টেলিচার্জ করে টাকা পাঠিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট করান তথ্যকেন্দ্রের কর্মচারী। জেলার জনগণের অভিভাবক জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সুশিল সমাজ কী করে নিরব ভূমিকায় চুপচাপ রয়েছেন তা আর বোধগম্য নয়! বিপুল কুমার গোস্বামী ও তার সকল ষ্টাফরা রাষ্ট্রীয় চেয়ারের অপব্যাবহার করে একটি জেলার সাধারণ জনগণের সাথে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। অথচ যেন চক্ষু মেলে দেখার কেউ নেই।