প্রতিনিধি
সাইফুল ইসলাম (১৮) পিতা মাহবুব আলম। পেশা সাধারণ কলেজ ছাত্র। সবেমাত্র এইচএসসি বর্ষে পড়াশুনা করছে। দরিদ্র পিতার আর্থিক সচ্ছলের জন্য পড়াশুনার পাশাপাশি সাচার বাজারে কামাল টাওয়ারে একটি দোকানে পার্টটাইম চাকুরি করছে। সে গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৬৩নং তেগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোট বাক্স ছিনতাইয়ের মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক আসামী হয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তেগুরিয়া কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কতিপয় সমর্থকরা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ডাঃ আহসান হাবীবকে মারধর করে ভোট বাক্স ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহসান হাবীব বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী ও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ০৭, তাং ১৭-৩-২০১৪খ্রিঃ। এ মামলায় কচুয়ার তেগুরিয়া গ্রামের নিরীহ মাহবুব আলমের পুত্র কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলামের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়। নিরীহ মাহবুব আলমের পরিবারের দাবি সাইফুল ইসলাম কোন দলের সাথে জড়িত নয়। বিশেষ করে ঘটনার দিন সে ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় ছিল। ভোট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার কাজে সে কোনভাবে জড়িত নয় বলে দাবি করে। রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে এলাকার কতিপয় লোকজন তার নাম অন্তর্ভূক্ত করে। বর্তমানে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার নাম মামলা থেকে বাতিলের জন্য স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।