প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট উপরে নারকেল গাছের চূড়ায় মারা গেলেন পেশাদার গাছী (নারকেল গাছ পরিস্কার করার কাজে নিয়োজিত) তৈয়ব আলী (৫৫)। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর অলিপুর গ্রামের ঢালী বাড়িতে। নিহত তৈয়ব আলী দক্ষিণ অলিপুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মৃত আঃ ছাত্তারের ছেলে। অনাকাঙ্খিত এমন মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ঢালী বাড়ির আনা মিয়ার নারকেল গাছের চূড়ায় আগাছা (স্থানীয় ভাষায় নারকেল গাছ বাছা) পরিষ্কারের জন্যে পেশাধারী তৈয়ব আলীকে আনা হয়। সকাল ১১টায় তৈয়ব আলী গাছ পরিষ্কার করার জন্যে আনা মিয়ার একটি নারকেল গাছে উঠেন। গাছের চূড়ায় উঠার পর পর আনা মিয়া কয়েক মিনিটের জন্যে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকেন। এ সময় নীচ থেকে আনা মিয়ার স্ত্রী তৈয়ব আলীকে ডাকাডাকি করার মুহূর্তেই গাছের চূড়ার মধ্যেই তৈয়ব আলী ঢলে পড়েন। এরপরেই আনা মিয়ার স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। তখন বেশ কজন নারকেল গাছে উঠে দেখেন তৈয়ব আলী অচেতন বা মারা গেছেন। তারা তৈয়ব আলীকে নীচে নামানোর বৃথা চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে প্রায় ঘন্টাকাল অতিক্রমকালে এলাকার শত শত মানুষ খবর শুনে ঘটনাস্থলে জড়ো হতে থাকে।
দুপুরের কিছু পরে খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সিদ্দিকুর রহমান তাঁর ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পেঁৗছেন। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর রশির মাধ্যমে তৈয়ব আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনিয়ে আসা হয়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এর পরেই রশির মাধ্যমে প্রায় ৫০/৬০ ফুট উপরে নারকেল গাছের মাথা থেকে তৈয়ব আলীকে নীচে নামিয়ে আনা হয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েপেঁৗছে দেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তৈয়ব আলীকে হাসপাতালের আনার পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুঝা গেছে তিনি আগেই মারা গেছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সফিকুর রহমান মীর বলেন, তৈয়ব আলীকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নে এই জনপ্রতিনিধি বলেন, শুনেছি তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন।