প্রতিনিধি
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর বাজার থেকে জোড়পুল-কাশিমপুর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ দিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের যাতায়াতে দিনের পর দিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে সড়কটির এমন বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা এবং বিকল হয়ে পড়ছে যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার, সিএনজি স্কুটারসহ ভারি যানবাহন। আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। নারায়ণপুর বাজার থেকে বাদামতলী-ডারিন্দা রসুলপুর হয়ে জোড়পুল-কাশিমপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক দিয়ে জেলার হাজীগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। প্রতিদিন এ বেহাল সড়কটি দিয়ে কয়েক শ� প্রাইভেটকার, সিএনজি স্কুটারসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। বড় বড় গর্তের কারণে সড়কটি উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়ায় এ সড়ক দিয়ে গাড়ি, সিএনজি স্কুটারসহ নানা ধরনের যানবাহনে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি লাগে। এতে গর্ভবতী নারীসহ যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলেও একাধিক যাত্রী জানান। এছাড়া প্রায়ই সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তে গাড়ি আটকে পড়ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরজমিনে দেখা যায়, সড়কের বেশিরভাগ স্থানেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটিতে খানাখন্দক ও বড় বড় গর্ত হওয়ার কারণে একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে অন্য গাড়িকে সাইড দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে এ সড়ক দিয়ে অবৈধ ট্রলি, ট্রাক্টর চলাচলের কারণে সড়কটি ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানায়। গত বছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট হওয়া বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দকগুলো প্রসারিত হয়ে বর্তমানে এ সড়কটির অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। চালক ও যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া পথচারীদের দুর্ভোগও বাড়ছে সীমাহীন। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়�য়া ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী রুমি আক্তার জানান, এ সড়কটি ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বাদামতলী থেকে নারায়ণপুর কলেজ ও স্কুলে আসতে আমাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয় এবং দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয়। একাধিক সিএনজি স্কুটার চালক জানান, নারায়ণপুর থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। এ কারণে ২০ মিনিটের সড়ক অতিক্রম করতে ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় লাগছে। এছাড়া গাড়ির যন্ত্রাংশও নষ্ট হয় তাড়াতাড়ি। এতে করে মালিক পক্ষকে লাভের পরিবর্তে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাগবে বর্তমান সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার জন্য এলাকার সচেতন মহল জোর দাবি জানিয়েছে।