প্রতিনিধি
কচুয়া থানার এসআই এনামুল হকের নেতৃত্বে মতিঝিল থানা পুলিশের সহায়তায় গত সোমবার বিকালে ঢাকার রামপুরা মোল্লা টাওয়ার থেকে দেহ ব্যবসায়ী সর্দারনী মিনু আক্তার বিউটি (৪০) ও দালাল মাহবুব ওরফে কাঞ্চন (৩০)কে আটক করে কচুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। কাঞ্চনের বাড়ি কচুয়ার পনশাহী গ্রামে।
উল্লেখ্য, পনশাহী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের নবম শ্রেণিতে পড়�য়া কন্যা লাকী আক্তারকে (১৪) একই বাড়ির তার চাচী ময়না বেগম (২৫) স্বামী কাঞ্চনসহ গত ১ জুন সন্ধ্যায় গার্মেন্টসে চাকুরি দেয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে ১২-১৩ দিন যাবৎ সিলেট ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানের অজ্ঞাত বাসায় রাখার পর ফকিরাপুলের মিনু আক্তার নামের এক দেহ ব্যবসায়ীর নিকট ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। মিনু আক্তার ফকিরাপুলের ৬তলা ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় তার আবাসিক কক্ষে লাকী আক্তারকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসার কাজ চালিয়ে আসে। প্রায় দেড় মাস যাবৎ এ ব্যবসা চালিয়ে আসার এক পর্যায়ে লাকী আক্তার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত ১ আগস্ট প্রত্যুষে ঘুম থেকে উঠে লাকী আক্তার সুকৌশলে কক্ষ থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে এসে তার পিতা-মাতার নিকট বিস্তারিত ঘটনা জানায়। লাকী আক্তারের দেয়া তথ্যানুসারে মিনু আক্তার আরো ৩ যুবতীকে দিয়ে তার বাসায় দেহ ব্যবসার কাজ চালিয়ে আসছে। এ ঘটনাটি স্থানীয় অধিবাসীরা জানার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ময়নাকে আটক করে গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কচুয়া থানা পুলিশের নিকট সোর্পদ করে। এ ব্যাপারে লাকী আক্তারের পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-০৫, তারিখ ০৭/০৮/২০১৪ খ্রিঃ।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, কাঞ্চন ঢাকায় থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ নারী পাচার ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।