ফাহিম কৌশিক খান
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের দুর্গাদী গ্রামে বসত বাড়িতে রাতের আধারে প্রবল বর্ষণের সময় বসত বাড়িতে প্রবেশ করে নারী ও শিশুদের হাত-পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত ঘটনা না জেনে স্থানীয়রা খুন হয়েছে বলে গুজব উঠিয়ে দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করে।
গতকাল রোববার দুপুর ১২ টায় চাঁদপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত আরিচুল হক, সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেন, এএসআই নন্দন, সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানেন। বালিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার ও প্রত্যক্ষ্যদর্শী কয়েকজন জানান, গত শনিবার রাত ১২টায় প্রবল বর্ষণের সময় দুর্গাদী রাজবাড়ির রুহুল আমিনের বসত ঘরে ৭-৮ জন ডাকাত দেশিয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। ঐ সময় বাড়িতে পুরুষ ব্যতিত ২ মহিলা ও শিশু সন্তান ছিলো। ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরে প্রবেশের সাথে সাথেই তাদের হাত- পা বেঁধে ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ঐ বাড়ির মালিক রুহুল আমিন অন্য স্থানে মসজিদের ইমামতি করে বিধায় বাড়িতে তার স্ত্রী সন্তান ছাড়া কেউ থাকেনা। তারা রক্ষনশীল মুসলিম পরিবার হওয়ায় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক গিয়ে খোঁজ খবর না করার কারণে, প্রকৃত ঘটনা না জেনে ডাকাতির ঘটনায় মানুষ হত্যা হয়েছে এ গুজব এলাকায় ছড়িয়ে পরে। স্থানীয়রা ঘটনার পরের দিন সকালে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশকে মানুষ খুন হয়েছে বলে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করে। খবর পেয়ে পুলিশ খুন হওয়া লাশ উদ্ধার করার জন্য ফরেনসিক টেস্ট বক্স নিয়ে গাড়িযোগে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়। ঐ সময় মডেল থানায় উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেনকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়ি নিয়ে এলাকায় টহল দেয়ার জন্য পুলিশ যাচ্ছে। ফরেনসিক টেস্ট বক্সটি পুলিশ অফিসে জমা দেয়ার জন্য নেয়া হচ্ছে। পুলিশ বালিয়া দূর্গাদী ইউনিয়নে যাওয়ার ঘটনাটি সম্পূর্ণ গোপন রেখে সংবাদ কর্মীদের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করে। পরে এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।