শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে ১শ’ লিটার পেট্রল ও অকটেনসহ মিজান পাটওয়ারী নামের একজনকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। আজ সোমবার দুপুর দেড়টায় মডেল থানার এসআই মনিরুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে মিজানের যমুনা অয়েল কোম্পানীর লগো ধারণ করা একটি খুচরা ও পাইকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসার পর একটি দালাল চক্র তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে চেষ্টা তদবির চালাতে ব্যস্ত হয়ে উঠে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর অবশেষে তাকে থানা হাজতে ঢুকানো হয়।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ লোহাগড় গাজী বাড়ির বাসিন্দা মিজান পাটওয়ারী দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদপুর নতুন বাজার যমুনা অয়েল কোম্পানীতে চাকরী করতো। সেখানে থাকা অবস্থায় সে অবৈধভাবে পেট্রল ও অকটেন বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতো। গত কয়েক মাস পূর্বে সে বঙ্গবন্ধু সড়কে একটি দোকান দিয়ে সেখানে যমুনা অয়েল কোম্পানীর লগো ব্যবহার করে পেট্রল, অকটেন ও চোরাই মবিল প্রকাশ্যে বিক্রি করে। চাঁদপুরে বিএনপি ও জামাত শিবিরের কর্মীরা ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করায় জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা প্রতিহত করার জন্য সবগুলো পেট্রল পাম্প ও অয়েল কোম্পানীতে খুচরা এবং বোতলজাত করে পেট্রল ও অকটেন বিক্রি না করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু যমুনা অয়েল কোম্পানীর এ অসাধু কর্মকর্তা নিজেই রাজনৈতিক দলের নেতাদের পরিচয় দিয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানীর লগো ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু সড়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে প্রকাশ্যে পেট্রল ও অকটেন বিক্রি করে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মডেল থানার এসআই মনিরুল অবশেষে তাকে খোলা পেট্রল ও অকটেন বোঝাই কন্টেইনারসহ মিজান পাটওয়ারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। মিজানকে থানায় নিয়ে আসার পর একটি দালাল চক্র পুলিশকে ম্যানেজ করে তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য পাঁয়তারা করে। এ সময় চাঁদপুরের কয়েকজন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক তার ছবি ধারণ করতে গেলে তার সহযোগীরা বাঁধা প্রদান করে। অবশেষে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর আটক মিজান পাটওয়ারীকে থানা হাজতে ঢুকানো হয়।
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, চাঁদপুরে জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা এ ধরণের দোকান থেকে খোলা পেট্রল অকটেন ক্রয় করে পেট্রল বোমা তৈরি করে নাশকতা সৃষ্টি করে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিজান পাটওয়ারীকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য দালাল চক্ররা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।