শিমূল হাছান
দ্ইু সন্তানের হতদরিদ্র জননী মায়া বেগম । জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিল ফরিদগঞ্জ ডায়বেটিস এন্ড জেনারেল হাসপাতালে। এক পর্যায়ে ওই রোগীর রক্তশুন্যতা হয়ে পড়ে। তাকে বাঁচাতে বি পজেটিভ রক্তের সন্ধানে চারিদিকে ছুটাছটি শুরু হয়। এ খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জের ইউএনও আলী আফরোজ তার শরীরের রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ নিয়ে মুমুর্ষ ওই রোগীকে নিজের রক্ত দিতে হাজির হয় সেই হাসপাতালে । যথারীতি ইউএনও ওই রোগীকি তার শরীরের রক্ত দিয়ে সমাজে মানব সেবার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, রোজা শেষে ইফতার তারপর কিছুটা বিশ্রাম। প্রতিটি ধর্মপ্রান মুসলমানের এটাই রীতি। কিন্তু ফরিদগঞ্জের ইউএনও আলী আফরোজ গত শুক্রবার রোজার পর ইফতার শেষে এক অসহায় মহিলা রোগীকে নিজের রক্ত দান করে মানব সেবার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার বিষয়টি জানাজানি হলে তা নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নয়ারহাট এলাকার দুই সন্তানের জননী মায়া বেগম থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছ্ ে। মহিলাটিকে বাঁচাতে বি পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন । এক পর্যায়ে ফরিদগঞ্জের অনির্বান সামাজিক সংগঠনের আহবায়ক নুরুল করিম ফরিদের আহবানে সাড়া দিয়ে ইউএনও গত শুক্রবার ইফতার শেষে দ্রুত হাসপাতালে এসে ওই রোগীকে নিজের রক্ত দিতে হাসপাতাল বেডে শুইয়ে পড়েন। পরে ইউএনও এর শরীর থেকে বি পজেটিভ রক্ত সংগ্রহ করে মুমুর্ষ মায়া বেগমের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। রক্ত পেয়ে মায়া বেগম এখন আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউএনও আলী আফরোজের শরীরের বি পজেটিভ রক্ত প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার জাহাংগীর আলম শিপন, উক্ত হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার সাদেকুর রহমান, অনির্বানের আহবায়ক নুরুল করিম ফরিদ , ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এম আর জুয়েল পাঠান প্রমুখ।
উল্লেখ্যে, এর আগেও ফরিদগঞ্জের ওই ইউএনও বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মুমুর্ষ রোগীকে ৮ বার নিজের শরীরের রক্ত দান করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ই্উএনও আলী আফরোজ।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।