এম.এইচ.মাহিন ও আবু-জাফরঃ
চাঁদপুর জেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কানু-দাশদী এবং মনোহরখাদী গ্রামের সম্মিলত প্রচেষ্টায় নিরক্ষর নাট্যগোষ্ঠীর জন্ম। এর পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন সিরাজী। এই নাট্যগোষ্ঠীর অবদানে প্রতিবছর নাটক মঞ্চস্হ হয়।সমাজের প্রতিটি মানুষ যার যার অবস্হান থেকে সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে । সমাজ উন্নয়নে এই নাট্যগোষ্ঠীর অবদান কম নয় ।
নাটক হলো আয়না । আয়না হলো মানুষের পরম আপন । উপমা সরূপ বলতে পারি মানুষ যখন কাঁদে আয়না তখন হাসে না আয়নাও কাঁদে ।আয়নায় যেমন নিজের চেহারা দেখা যায় তদ্রুপ নাটকের মাধ্যমেও সমাজের আসল চেহারা ফুটে উঠে।এই নাট্যগোষ্ঠীর যারা কৌশলগতভাবে সমাজের দু:খ-ব্যথা তুলে ধরতে পারদর্শী ছিলেন তারা অনেকে আজ প্রয়াত ।প্রয়াত অভিনেতার মাঝে যার অভিনয় আমার বেশি ভালো লাগত সে হলেন মনা মেম্বার।যার অট্টহাসিতে কেঁপে উঠত সারা পাড়া গাঁ ।
নিরক্ষর নাট্যগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে প্রয়াত অভিনেতাদের প্রতি রইল হাজার শ্রদ্ধাঞ্জলি।এ যাবৎকাল নিরক্ষর নাট্যগোষ্ঠী আমাদের উপহার দিয়েছে বহু নাটক সংলাপ । নিরক্ষর নাট্যগোষ্ঠীর শ্রেষ্ঠ উপহার বিমাতার চক্রান্ত এবার সুধীজনে উপহার দিচ্ছে ১৬ তম নাট্যনুষ্ঠান “জীবন্ত পাপ” শ্রী হীরেন্দ্র কৃষ্ণ দাস রচিত। পরিচালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
১৬ তম নাটকের তারিখ, স্হান এবং অভিনয় শিল্পীর পরিচয় সংক্ষেপে নিম্নরুপ:
স্হান: কানুদী মিয়ার বাজার
তারিখ: ২৯শে নভেম্বর ২০১২ ইং রোজ বৃহস্পতিবার
“জীবন্ত পাপ”
শ্রী হীরেন্দ্র কৃষ্ণ দাস
পরিচালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
চরিত্র
উমিদ খাঁ –মহন বেপারী, কালি খাঁ-লিয়াকত আলী বেপারী, কোতল খাঁ-এস.এম কায়সার আহম্মেদ, চন্ডিদাস শর্মা-আক্তার, চিত্রসেন-সামসুদ্দিন সিকদার, বাসুদেব-আলাউদ্দিন বেপারী, বিশ্বজিত-সাইফুল প্রধানীয়া, মানিক চাঁদ-দুলাল মোল্লা, আদিল শাহ-হানিফ সরদার, ফিরোজ শাহ-আফজাল হোসেন (মন্টু)কুলসুম-ভারতী মন্ডল, শ্যালমী-আয়েশা বেগম, কমলা- অঞ্জনা,নৃত্যশিল্পী-মানিকা
উক্ত নাটকের সভাপতি জনাব মো: হাবিবুর রহমান (মন্টু) চেয়ারম্যান -১নং বিষ্ণপুর ইউনিয়ন। প্রধান অতিথি-জনাব গোলাম কবির চৌধুরী (সি.আই.পি)বিশেষ অতিথি-জনাব আমিনূর রহমান (লাভলু) সুধীজন উক্ত নাট্যানুষ্ঠানে আপনি/ আপনারা আমন্ত্রিত ।