প্রতিনিধি
নিরাপদ ও স্বল্প সময়ের যাত্রা হওয়ায় দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রুট। এ ঈদে ঘরমুখো প্রায় ২০ লক্ষাধিক যাত্রী, নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরেছেন এ নদী পথ দিয়ে।
সড়কে ভয়াবহ যানজট আর দুর্ঘটনার আশঙ্কার মধ্যে, নদী পথে পরিবার-পরিজনের নির্বিঘ্ন যাত্রায় খুশি সাধারণ যাত্রীরা। এদিকে, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ বলছে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও কড়া নজরদারির কারণে এবছর নদীপথে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
রাজধানী ঢাকা থেকে চাঁদপুর পৌঁছাতে সড়ক পথে স্বাভাবিক সময়ে লেগে যায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। এছাড়া, যানজটের পাশাপাশি রয়েছে অহরহ দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।
কিন্তু নদীপথে ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুর পৌঁছাতে সময় লাগছে মাত্র তিন ঘণ্টা। তাইতো রাজধানীর সদরঘাট আর চাঁদপুরের লঞ্চঘাট এখন মুখর থাকছে যাত্রীদের পদচারণায়। শুধু চাঁদপুরই নয় লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার কিছু অংশের যাত্রীরাও এখন যাতায়াত করছেন এ নদী পথে।
আর দুর্ঘটনার তেমন আশঙ্কা না থাকায় ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে এ ঈদে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদে নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটে চলা এবং ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য এ রুটের লঞ্চ ও স্টিমারই প্রথম পছন্দ ছিলো যাত্রীদের।
এদিকে, যাত্রীসেবা ও নির্বিঘ্ন যাত্রীয়, সবার চোখেমুখে ছিল স্বস্তির ছাপ। নিয়মিত টহল, নজরদারি ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় এ ঈদে কোন দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র।
বিআইডব্লিউটিএ’র তথ্যমতে, ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে ঈদ উপলক্ষে, ২০টি বিলাসবহুল লঞ্চে প্রায় ২০ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। আর, স্বাভাবিক সময়ে ১২টি লঞ্চ ও তিনটি স্টিমার চলাচল করে এ নৌ পথে।