অনলাইন ডেস্ক–
আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে গঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকালীন সরকারে স্থান পাচ্ছেন না সরকারের অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। কমপক্ষে ২০ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় ১০জনই রাখা হবে অন্য দল থেকে। স্থান পেতে পারেন সংস্কারপন্থী হিসেবে আগে মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়া অনেকেই।
বর্তমান মন্ত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই বাদ পড়বেন। বাদের এই দীর্ঘ তালিকায় যারা আছেন তারা হলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. আফম রুহুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম শ্রম ও কর্মসংস্থান রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমীন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) একে খোন্দকার, রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের, ভূমিমমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ।
সূত্র জানায়, এ ছাড়া বর্তমান আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের অন্য সংসদ সদস্যদের মধ্যে থেকেও নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রী নেয়া হতে পারে। এতে যোগ দিতে পারেন আগে মন্ত্রীত্ব নিতে অস্বীকার করা তোফায়েল আহমেদ, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু। জাসদের মঈনউদ্দিন খান বাদল আর জাতীয় পার্টি (জেপি) শেখ শহীদকে নেয়া হতে পারে মন্ত্রিসভায়।
সর্বদলীয় এ সরকারে আওয়ামী লীগের ১০ জন, জাতীয় পার্টির পাঁচজন, ওয়াকার্স পার্টির একজন, জাসদের দুইজন, জেপির একজন, অন্যান্য বামদল থেকে একজন সর্বদলীয় সরকারে নেয়ার চিন্তা রয়েছে। প্রতি দশ জনে একজন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভায় নেয়ার সাংবিধানিক সুযোগ রয়েছে। এজন্য এসব দলকে আহবান জানানো হবে। কেউ সরকারে যোগ না দিলে সেক্ষেত্রে আলোচ্য অনুপাত কমবেশি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এমন ইঙ্গিত দেন যে, অনির্বাচিত কাউকে এ সরকারে রাখা-না রাখার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। এ নিয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে তার কথা হয়েছে-আরও হতে পারে। আর বিএনপির কেউ বা পুরো দল নির্বাচনে আসলে সে ক্ষেত্রে চিত্র পাল্টে যাবে।
এসব মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রতিমন্ত্রীদের কেউ কেউ পূর্ণমন্ত্রী হতে পারেন আবার নির্বাচনের সময়ের জন্য একেবারেই বাদ যেতে পারেন। এ বিষয়টি এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে। স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র এমনকি প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও অন্য দল থেকে নেয়া সদস্যদের হাতে ছেড়ে দেয়া হতে পারে।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার। তিনি জানান, নির্বাচনকালীন সরকারে যোগদান বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। স্যার (এরশাদ) দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।