চাঁদপুর শহরের নিশি বিল্ডিং ও কশাইখানা রোডে অবস্থিত চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের ৪০শতাংশ খাস জলাবদ্ধ জায়গা (পুকুর) ড্রেজারের মাধ্যমে ভরাট করা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিন যাবৎ দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলা চলছে। এতে করে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০জন ভূমিদস্যু যুবক আহত হওয়ার খবর পাওয়াগেছে। এরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে
একটি সূত্র জানায়। এলাকাবাসী জানায়, উক্ত জায়গার মূল্য বর্তমান বাজার ধরে প্রায় ২ কোটি টাকা। সংঘর্ষের সময় ভুয়া দলিল পাওয়ায় পুলিশ ওই এলাকার মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া মাহবুব (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি ব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজন। সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসী ও নিশি বিল্ডিং হাওলাদার বাড়ী জামে মসজিদের কমিটির সদস্য ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের একজন নেতার সাথে আলাপকালে জানাগেছে, স্বাধীনতার পূর্বে নিশি বির্ল্ডিং এলাকার জমিদার নিশিবাবু শহরের উত্তর শ্রীরামদী এলাকায় বহু জায়গা রেখে ভারত চলে যান। ওই সব জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালী ভুমিদস্যু অনেকেই দখল করে তাদের নামে বিভিন্ন পন্থায় ভুয়া দলিল করে নেয়। বাকী পড়ে থাকা নিশি ভিল্ডিং ও কশাইখানা রোডের পাশে ৪০ শতাংশের একটি পুকুর যেখানে নিশি বাবুর পরিবারের কাপড় ধোয়ার জন্য দোপাদের প্রয়োজনে একটি পুকুর খনন করা হয়েছিলো। বর্তমানে ওই পুকুরটি জেলা প্রশাসনের খাস জায়গা হিসেবে পরিগনিত হয়ে আসছিলো। পুকুরটি কারোনামে জেলা প্রশাসন থেকে লীজ না থাকায় নিশি বির্ল্ডিং এলাকার হাওলাদার বাড়ী জামে মসজিদের সাহায্যার্থে পুকুরটিতে মাছ চাষ করে আসছিলো মসজিদ কমিটি। হঠাৎ ওই এলাকার ভুঁইয়া বাড়ীর মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া একটি ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে নিজে পুকুরের মালিক দাবী করে। এই ব্যাপারে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ মাহবুবুর রহমানের দলিল তদন্ত সাপেক্ষে সে পুলিশের কাছে ভুয়া দলিল সৃষ্টি করার অপরাধে আটক হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ ওই পুকুরটিতে ড্রেজার পাইপ স্থাপন করে শাসক দলের দু’টি গ্রুপ পুকুর ভরাট করা না করা নিয়ে সংঘর্ষে লীপ্ত হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, এতে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
শিরোনাম:
শনিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৩ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।