ফাহিম শাহরিণ কৌশিক খান-
মেঘনা মোহনায় মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরা ও আইস ফ্যাক্টরী বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরা এবং পুরাণবাজারের যমুনা আইস ফ্যাক্টরী, বিসমিল্লাহ্ আইস ফ্যাক্টরী ও রিয়াদ আইস ফ্যাক্টরীতে বরফ তৈরি ও সরবরাহ অব্যাহত রাখে। কুমিল্লা র্যাব-১১ গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় চাঁদপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তুষার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৩ আইস ফ্যাক্টরীর ম্যানেজারদের আটক করে। আটককৃত যমুনা আইস ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার প্রণব, বিসমিল্লাহ্ আইস ফ্যাক্টরীর নজরুল ইসলাম ও রিয়াদ আইস ফ্যাক্টরীর কালামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ দিনের সাজা প্রদান করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমিনুল ইসলাম ও তুষার আহমেদ জানায়, গতকাল সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আইস ফ্যাক্টরী ৩ জনকে ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের সাজা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে যমুনা আইস ফ্যাক্টরী ও বিসমিল্লাহ্ আইস ফ্যাক্টরীর ম্যানেজারকে জেলসহ ১ হাজার টাকা আদায় করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, পুরাণবাজার ৫নং ঘাট এলাকার যমুনা আইস ফ্যাক্টরীর মালিক আরিফ, বাদশা এবং পূবালী আইস ফ্যাক্টরীর মালিক শাকিল প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্য দিবালোকে বরফ মিল চালিয়ে ইলিশ মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন জানতে পেরে ঘটনার দিন এ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে যমুনা আইস ফ্যাক্টরীর মালিক বাদশা ও আরিফ পালিয়ে গেলেও তার ম্যানেজার প্রণবকে আটক করে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।